ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবনাদর্শ। স্রষ্টা প্রদর্শিত পথে মানবজাতিকে পরিচালনার জন্য যুগে যুগে যেসব নবী রাসুল এসেছেন তাদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাই অশান্ত আর বিক্ষুব্ধ আজকের এ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শের কোন বিকল্প নেই। গত বুধবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবীর অমুসলিম মনীষীরাও স্বীকার করেছেন একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পথ অনুসরণের মাধ্যমে আজকের বিশ্ব তাবৎ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকের মুসলিম বিশ্বও মহানবীর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে জিল্লতীর মধ্যে কালাতিপাত করছে। বক্তারা বলেন, উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে বাংলাদেশ নামে যে স্বতন্ত্র স্বাধীন দেশ বিদ্যমান তার অভ্যূদয় সম্ভবই হতো না। যদি এতদঞ্চলে বিশ্ব নবীর আদর্শের অনুসারীদের বিপুল সংখ্যাধিক্য প্রতিষ্ঠিত না হতো। সে নিরিখে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রস্বত্তাও নির্ভর করে বিশ্ব নবীর আদর্শের উপর।
তমদ্দুন মজলিসের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিকের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের অধ্যাপক ডকেএম সাইফুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক ও প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল গফুর, বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ও সাবেক সচিব এজেডএম শামসুল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ আবুল কালাম, ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. কেএম ইয়াকুর হোসেন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক মোহম্মদ আবদুল হান্নান ও বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. ঈসা শাহেদী প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে প্রতি বছরের মতো এবছরও ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে বিশেষ অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটকে তমদ্দুন মজলিসের শান্তি পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও রচনা প্রতিযোগীতায় বিজয়ীসহ সকল অংশগ্রহণকারীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন