এই রোগটি বা সিনড্রোমটি বড়দের হয়। খুব বিরল এই ইয়োলো নেইল সিনড্রোম। জীনের সমস্যার কারণে এমনটি হয় বলে জানা গেছে। যদিও এই ব্যাপারে পুরোপুরি সবকিছু জানা সম্ভব হয়নি। ১৯৬৪ সালে লন্ডনে দু’জন চিকিৎসক প্রথম এই রোগের বর্ণনা দেন।
এই সিনড্রোমে নখ হলুদ এবং পুরু হয়ে যায়। নখগুলো বেঁকে যায় এবং বাড়তে পারে না। আস্তে আস্তে নখটি নেইল বেড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এছাড়া সিনড্রোমটিতে প্লুরাল ইফিউশন এবং লিম্ফইডিমা থাকে। ফুসফুসের চারিদেকে পাতলা আবরনী বা প্লুরা থাকে। এর দুটি স্তর। প্যারাইটাল এবং ভিসেরাল। দুই স্তরের মাঝে পানি জমা হলে তাকে বলে প্লুরাল ইফিউশন। লিম্ফইডিমাতে পা ফুলে যায়। কিন্তু চাপ দিলে বসে যায়না। প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ যারা এই সিনড্রোমে আক্রান্ত তাদের ব্রংকিয়েকটেসিস থাকে।
ইয়োলো নেইল সিনড্রোমের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে ফুসফুসের সমস্যায় লক্ষনভিত্তিক চিকিৎসা করা হয়।
স্বাভাবিক মানুষের গড় আয়ু থেকে এই সিনড্রোমে আক্রান্তদের গড় আয়ু কিছুটা কম হয়। যদিও সারা পৃথিবীতে এই সিনড্রোমে আক্রান্ত খুব কম রোগী পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন