শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

আলোর মুখ দেখছে না মুন্সীগঞ্জ ট্রমা সেন্টার!

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) থেকে মুনীরুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ১ যুগপেরিয়ে গেলেও একমাত্র ট্রমা সেন্টার সহসা আলোর মুখ দেখছে না। জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় নির্মিত এ ট্রমা সেন্টার। দীর্ঘ ১ যুগ অতিবাহিত হলেও মাত্র ৩ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ভবন ছাড়া ট্রমা সেন্টারের আনুষাঙ্গীক সব কাজই বাকি। বাকি রয়েছে ট্রমা সেন্টারের বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি আনার কাজও। দফায় দফায় দরপত্র আহ্বান, নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন, অর্থাভাব ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতিতে দীর্ঘ ১ যুগ শেষে ট্রমা সেন্টারের একমাত্র ৩ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা কবলিতদের চিকিৎসা সেবা দিতে খুব সহসা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে না জেলার একমাত্র এ ট্রমা সেন্টার। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, শ্রীনগর ও সিরাজদিখান উপজেলার ঢাকা মাওয়া মহাসড়কে সড়ক দুর্র্ঘটনা কবলিতদের সেবা দিতে জেলায় একমাত্র এই ট্রমা সেন্টার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এতে ২০০৭ সালে লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করে জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তর। ৩ তলা ভবন নির্মাণের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর ৩ দফায় ওই দরপত্র আহ্বান করে। তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বানে পরিপ্রেক্ষিতে মেসার্স আব্দুস সাত্তার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ট্রমা সেন্টারে ৩ তলা ভবন নির্মাণের কাজ পায়। কিন্তু ওই দরপত্রের প্রায় তিন বছর পর ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রীনগর উজেলার ষোলঘর এলাকায় ট্রমা সেন্টারের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ট্রমা সেন্টার নির্মাণের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। তবে ৩ তলা ভবন তৈরি করতেই ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা উত্তোলন করে নেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুস সাত্তার। এদিকে তিন তলা ভবন নির্মাণের পর সেখানে আরো কিছু বাড়তি কাজ যোগ করে গণপূর্ত অধিদপ্তর। বাড়তি কাজে অস্বীকৃতি জানায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুস সাত্তার। এতে প্রতিষ্ঠানটি অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়। এরপর ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সাথে চুক্তি বাতিল হয়। এরপর ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে মুন্সিগঞ্জ জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তর অবশিষ্ট কাজের জন্য আবার দরপত্র আহবান করে। টেক ঢাকা জোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হলেও পরবর্তিতে দরপত্রে অংশগ্রনকারী হিসেবে অযোগ্য বিবেচিত হয়। বর্তমানে ট্রমা সেন্টারের তিন দিকে বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণ কাজ বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আহম্মদ উল্লা। তিনি আরো জানান, খুব সিগগির ট্রমা সেন্টারের বাউন্ডারি প্রাচীর নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হবে। বরাদ্ধ পেলেই এই দরপত্র আহ্বান চুড়ান্ত করবেন গণপূর্ত অধিদপ্তর। দরপত্র আহ্বানের পর আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করতে পারলেই ট্রমা সেন্টার চালু করা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন