কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহিদনগর ট্রমা সেন্টার মানুষের হাড় ভাঙা জোড়া দেয়ার কথা অথচ সেই প্রতিষ্ঠানটি ১৬ বছর জোড়াতালি দিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। ১৬ বৎসর পেড়িয়ে গেলেও পরিপূর্ণতা লাভ করেনি। মাত্র ১ একজন চিকিৎসক ৪ জন নার্স ও একজন আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কোন রকম চলছে ট্রমা সেন্টারের বহিবিভাগ। জোট ও মহাজোট সরকারের দুই স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিল। গণপূর্ত বিভাগের অর্থায়নে ৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন করা হলেও পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের ঢাকা নেয়ার পথে অনেকেই মারা যাচ্ছে। জানা যায়, বিএনপি›র দলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার আগে তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২০০৬ সালে ৬ অক্টোবর উদ্বোধন করেন উদ্বোধনের পর প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়। পরে আ.লীগ মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ন ম রুহুল হক ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধন করেন। তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনো লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান অভিযোগ করে ইনকিলাবকে জানান, আর কতবার উদ্বোধন করলেন ট্রমা সেন্টার পূর্নতা পাবে? ট্রমা সেন্টারে একজন উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা আমিনা খানম ও নার্স নিয়ে এ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার তৌহিদ আল হাসান জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি এ সেন্টারটি সম্পূর্ণরূপে চালুর জন্য কুমিল্লা সিভিল সার্জন কে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা সিভিল সার্জন জানান, ডাক্তার-নার্সের স্বল্পতা রয়েছে পরিপূর্ণরূপে চালুর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন