মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চারদিকে হলুদের সমারোহ

কচুয়া (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৪৩ এএম

চাঁদপুরের কচুয়ায় মাঠে মাঠে সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। হলুদ ফুলে ভরে আছে জমি। ফুলের মৌ মৌ গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে পুরো এলাকায়। আকৃষ্ট করছে মৌমাছিসহ সকল প্রকৃতি প্রেমিককে। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে, ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।
কচুয়া উপজেলা সরিষা ফুলে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। চারদিকে তাকালে যেন সবুজের মাঝে হলুদের সমাহার। কখনো কখনো সরিষার ক্ষেতে বসছে পোকাখাদক বুলবুলি ও শালিকের ঝাঁক। অনেকটা প্রতিকূল আবহাওয়ার পরও এ বছর প্রায় ২শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় উপজেলা কৃষিস¤প্রসারণ অধিদপ্তর।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সরিষার ফুলে ফুলে ও মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে কচুয়া উপজেলার পৌরসভাসহ ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি সরিষা ক্ষেত। ফসলি মাঠের শোভা বাড়িয়ে তুলেছে এসব সরিষার ক্ষেত। মাঠের চারিদিক যেন হলুদ হলুদে পরিপূর্ণ। এক দেখাতেই মন কাড়বে দর্শনার্থীদের। সরিষা ফুলের শোভা আরো বাড়িয়ে তুলেছে অসংখ্য মৌমাছির দল গুণগুনিয়ে মধু আহরণে ব্যাস্ত।
কৃষক মফিজুল ইসলাম, লিটন ও কাউছার আলম জানান, সরিষার গাছ ভালো হয়েছে। ভালো ফুল ফুটেছে বলে ভালো ফলনও আশা করা যায়। সরিষার ফুলে ফুলে হলুদ বর্ণের বর্ণিল জমিগুলোতে আশে পাশে দূর দূরান্ত থেকে স্কুল কলেজের সৌখিন প্রকৃতি প্রেমিকরা বেড়াতে আসছেন। আবার সরিষার ফুলের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য অনেক তরুণ-তরুণীরা ক্যামারা ও ভিডিও মাধ্যমে নিজের ছবির সাথে সরিষার ফুলের ছবি ধরে রাখছেন।
এ বছর অনেকেই আগাম সরিষা অবাদ করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছেন উপজেলার কৃষকরা। কচুয়া উপজেলায় সমতল এলাকার বাইরেও পলিঞ্চলে এ বছর সবচেয়ে বেশী সরিষার চাষ করা হয়েছে। বিশাল চরে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার চাষ করে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে কৃষকরা। বন্যা পরর্বতী সময়ে তাদের মনে এখন নতুন করে আশা সঞ্চার করেছে সরিষা চাষে।
এদিকে, উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সন্তোষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, এবার কৃষকরা সরিষা চাষে তাদের ভাগ্যবদল হবে। সরিষার আবাদ ভালো হওয়াতে তাদের মুখে যেন হাসির ঝিলিক। আবাদে সেচ, সার ও কীটনাশক অনেক কম লাগে। তার মতে, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলন হবে। তিনি বলেন, সরিষা চাষ করে মানুষ শুধু তেল-ই তৈরি করে না। এই সরিষা ভাঙ্গিয়ে খৈল ও গাছ থেকে ভূষি তৈরি হয় যা গরুর ভালো খাদ্য এবং ভালো জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আহসান হাবীব জানান, গতবছরের চেয়ে এ বছর সরিষা আবাদে আগ্রহী বেশি সংখ্যক কৃষকরা। উপজেলার উচু জমির পাশা পাশি পলিঅঞ্চলে বন্যার পর মাটির উবর্রতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর ব্যাপক সরিষার উৎপাদন সম্ভব। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে ও কোনো রকম রোগ বালাই না ধরলে সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশা করছেন। তবে সরকারের সরিষা প্রনোদনা থাকায় সরিষা আবাদে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন