শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শান্তি ও সমৃদ্ধির পথ ইসলাম

চীনে ইসলাম প্রচারকারী প্রথম সাহাবীর নাম বিভ্রাট

খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

‘ওতলুবুুল ইলমা ওয়ালাও কানা বিস চীন’। কথাটি হাদিস বলে খ্যাত। যার অর্থ- তোমরা জ্ঞান লাভ করো, যদি তা চীন দেশেও থেকে থাকে। সাধারণত, এখানে চীন অর্থ দূরবর্তী স্থানকে বোঝানো হয়েছে। যেহেতু আরব দেশ থেকে পূর্ব দিগন্তে বহুদূরে অবস্থিত চীন দেশ, তাই জ্ঞানলাভের জন্য চীনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তা ছাড়া এটাও সম্ভব যে, প্রসিদ্ধ ছিল যে, জাগতিক জ্ঞানবিজ্ঞানে সেকালে চীন খুবই বিখ্যাত ছিল। অনুমান করা হয়, এ কারণে রাসূলুল্লাহ (সা.) সর্ব প্রথম চীন দেশের সম্রাটের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য একজন সাহাবীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। বলা হয়ে থাকে, ওই সাহাবীর নাম ছিল ওহাব ইবনে আবি কাবশা (রা.)। এটি ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দের কথা। এরও বহু আগে ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে হাবশায় হিজরতকারী একটি সাহাবী দল ইসলাম প্রচার ও ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে চীন পর্যন্ত যান। তাদের নেতার নাম ছিল সাহাবী আবু ওক্কাস মালিক ইবনে ওহাইব (রা.) তিনি রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর মামা ছিলেন। তিনি সা’দ বিন আবু ওক্কাসের পিতা আবু ওক্কাস।
বিষয়টি নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। প্রথমেই আমরা ওহাব ইবনে আবি কাবশা সম্পর্কে ‘তারিখে এশায়াতে’ ইসলাম গ্রন্থের বর্ণনাটি তুলে ধরতে চাই। তাতে বলা হয়েছে- ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে ওহাব ইবনে আবি কাবশাকে ইসলামের পয়গাম পৌঁছানোর জন্য চীন সম্রাটের কাছে পাঠিয়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন দুনিয়ার বড় বড় সম্রাটদের কাছে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পত্র লিখেছিলেন। প্রেরিত সাহাবী যখন সামুদ্রিক জাহাজে চীনের ক্যান্টন বন্দরে পৌঁছান; তখন সেখানে তাকে বিপুল সম্বর্ধনা দেয়া হয় এবং সম্রাটের পক্ষ থেকে তাঁকে এবং তাঁর সব সফরসঙ্গীকে চীনে ইসলাম প্রচারের প্রকাশ্যে অনুমতি দেয়া হয়। তারা সেখানে চার বছর অবস্থান করেন এবং ইসলাম প্রচার করার পর মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু তারা যখন মদিনায় প্রত্যাবর্তন করেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকাল (৬৩২ খ্রিষ্টাব্দ) হয়ে গিয়েছিল।’ এ বর্ণনায় ওহাব ইবনে আবি কাবশার অপর সফরসঙ্গীদের কারো নাম ও সংখ্যার উল্লেখ নেই।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের খবরে তাঁর মন ভেঙে যায় এবং কিছুদিন মদিনায় অবস্থানের পর তিনি আবার ক্যান্টনে চলে যেতে মনস্থ করেন। যাত্রাকালে তিনি কুরআনের একটি কপি সঙ্গে নিয়ে যান, যা হজরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) সঙ্কলন করেছিলেন। কিন্তু ক্যান্টনে পৌঁছার পর ওহাব ইবনে আবি কাবশা বেশি দিন জীবিত ছিলেন না। অসুস্থ হয়ে সেখানেই ইন্তেকাল করেন। সেখানে তাঁর মাজার এখনো চীনা মুসলমানদের জিয়ারতগাহ হিসেবে বিদ্যমান। ওহাব ইবনে আবি কাবশা মহানবী (সা.)-এর মামা ছিলেন বলে বিখ্যাত লেখক আর্লন্ড উল্লেখ করেছেন। চীনা লেখক চ্যংশন লং-ওই সাহাবীর নাম ইবনে হামজা উল্লেখ করেছেন। চীনা লেখক বদর উদ্দীন তাঁর গ্রন্থে সাদ ওক্কাল এবং মাওলানা হামেদ বদায়ুনী তার সফরনামায় লিখেছেন যে, মাজারের নামফলকে আবদুর রহমান ওক্কাস খুদিত আছে, তবে তাঁর গবেষণা অনুযায়ী নামটি আবদুর রহমান ওকাজ/ওক্কাজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এ বর্ণনা থেকে গবেষণার আরো একটি পথ খুলে গেল যে, আবদুর রহমান ওক্কাস কে ছিলেন; কিংবা আবদুর রহমান ওকাজ কে ছিলেন। ওক্কাস এবং ওকাজ অভিন্ন ব্যক্তি নাকি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি তা নতুনভাবে গবেষণার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। ‘তারিখে আকওয়ামে আলম’ গ্রন্থের লেখক কোনো বিশেষ ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে বলেন, আরবের পয়গম্বরের দূত একখানা তবলীগী পত্র নিয়ে আরব বণিকদের সঙ্গে ৬৩১ খ্রিষ্টাব্দে চীনের সম্রাট তামি তাসুংয়ের দরবারে হাজির হন। সম্রাট দূতদের সাথে উত্তম আচরণ ও সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তিনি আরব প্রতিনিধিদের ক্যান্টনে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেন। ক্যান্টনে এ মসজিদ এখনো বিদ্যমান।
চীনের পুরনো রেকর্ডপত্রে ওই সব আরবের অবস্থান জানা যায়, যারা আরব পয়গম্বরের পত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, সম্ভবত ওহাব ইবনে আবি কাবশাকে রাসূলুল্লাহ (সা.) পাঠাননি, বরং তিনি নিজেই বণিক হিসেবে চীনে গমন করেছিলেন। ওহাব ইবনে আবু কাবশার নাম বিভ্রাটের কারণে চীনে মুসলমানদের প্রথম আগমনকারীদের বিষয়টি দারুণভাবে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। ১৪ শ’ বছর আগের এ ঘটনার সঠিক তথ্য উদ্ধার করা আধুনিক যুগে দুঃসাধ্য ব্যাপার। কেননা, প্রায় একই ধরনের তথ্যাবলি বিভিন্ন সূত্রে আবু ওক্কাসের ক্ষেত্রেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, আবু ওক্কাস বর্ণিত বিবরণের মধ্যে মওলানা হামেদ বদায়ুনীর বর্ণনা অনুযায়ী- ক্যান্টনে সমাহিত সাহাবীর নাম মাজারে খোদাই করা আছে আবদুর রহমান ওক্কাস। মাওলানা বদায়ুনী নকল করার সময় ভুলবশত ওক্কাসকে ওক্কাজ বা ওকাজ লিখতে পারেন। নামফলকটি সম্ভবত আরবিতে খোদাইকৃত হওয়ায় অনেক লেখকই তা গভীরভাবে লক্ষ করেননি এবং তারা বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবু ওক্কাস (রা.)-এর নাম উল্লেখ করেছেন এবং পরবর্তীকালে লেখকদের ‘নকল দর নকল’ এর কবলে পতিত হয়ে আবদুর রহমান ওক্কাস পরিণত হয়ে গেছেন আবু ওক্কাস নামে।
ক্যান্টনে অবস্থিত সাহাবীর মাজারের নামফলকে যা খোদাই করা আছে বলে মাওলানা বদায়ুনী উল্লেখ করেছেন, তা অকাট্য প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা। আর যারা ওহাব ইবনে আবি কাবশা উল্লেখ করেছেন, তাও একই কারণে সঠিক হতে পারে না। মোট কথা, ৬২৮ খ্রিষ্টাব্দে পাঠানো সাহাবী পত্রবাহক সাহাবীদের অন্যতম। আর ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে চীনে গমনকারী সাহাবী আবু ওক্কাস মালিক ইবনে ওহাইব ভিন্ন ব্যক্তি। যার পুত্র সা’দ ইবনে আবু ওক্কাস (রা.)।
অধিক প্রমাণিত সূত্রে ক্যান্টনে যে সাহাবীদের কবর পাওয়া যায়, তারা পত্রবাহক নন। কারণ পত্রবাহক সাহাবী নবীজীর ইন্তেকালের পর মদিনায় ফিরে গিয়েছিলেন। ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দে আগত সাহাবীদলের কবরই ক্যান্টনে হয়ে থাকবে। যারা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের (৬২২ খ্রিষ্টাব্দ) পূর্বে ৬১৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে চীনে এসেছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
Zulfiqar Ahmed ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
দেড় হাজার বছর আগে হেরা পর্বতের গুহায় যে নুর নাজিল হয়েছিল, অল্প সময়ের মধ্যেই তার আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। মুহাম্মদ (স) ইসলাম প্রচার শুরু করার পর যারা এই নতুন জীবন বিধান মেনে নিয়েছিলেন, তারাও আর স্থির থাকেননি- মানবতার কল্যাণে অন্যদেরও এই বিধান গ্রহণের আহ্বান জানাতে থাকেন। আরব ভূখণ্ড থেকে কুরআনের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছিল ভারত, চীন, পারস্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের প্রতিটি প্রান্তে।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
ওসমান (রা.) অনেক বিশিষ্ট সাহাবিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে রাজত্বের অবস্থা, জনগণের সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, তার বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রদেশে পাঠাতেন। ওসমান (রা.) ১২ বছর খলিফা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। খেলাফতকালের প্রথম ছয় বছর রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয় করেছিলেন এবং তিনি খোলাফায়ে রাশেদিনদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। ইসলামের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ওসমান (রা.) ছিলেন বিশেষভাবে প্রশংসিত। তিনিই সর্বপ্রথম সাহসিকতার সঙ্গে ৬৫০ সালে চীনে মুসলিম দূত পাঠিয়েছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা.)-এর নেতৃত্বে দূতগণ চীনের চাংঘান নগরে পৌঁছান ৬৫১ সালে এবং এই দীর্ঘ পথযাত্রায় তাঁরা দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়েছিলেন। চীনের হুই জনগণ এই তারিখটিকেই চীনে ইসলামের আবির্ভাবের মূল তারিখ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। চীনের টাং রাজবংশ একটি ঐতিহাসিক আলোচনার আয়োজন করেছিল এবং দূতগণ টাং নগরের সম্রাটের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করেছিলেন।
Total Reply(0)
Hafiz Ussal ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
ইসলাম প্রচারের প্রথম দিকে যেসব দেশে এর দাওয়াত পৌঁছেছিল, চীন তার একটি। ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, মূলত মুহাম্মদ (স)-এর সাহাবী সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাসের (রা) নেতৃত্বে সাহাবীদের একটি দল প্রথম চীনে ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন ৬১৫ থেকে ৬১৮ খিস্টাব্দের মধ্যে। এই দলে ছিলেন মুহাম্মদ (স)-এর চাচাতো ভাই জাফর ইবনে আবি তালিব (রা) এবং আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের (রা) মতো সাহাবীরা। কোনো কোনো বর্ণনায় কায়েস আবনে হুজায়ফা (রা), উরওয়াহ ইবনে আসাসা (রা) ও আবু কায়েস ইবনে হারেসের (রা) নামও এসেছে। সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস ছিলেন রাসুল (স)-এর মামা। অর্থাৎ, তার মা আমিনার চাচাতো ভাই। এর বাইরে এই সাহাবীর আরো বড় একটি মর্যাদা রয়েছে- তিনি দুনিয়াতে থাকতে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ সাহাবীর একজন, যাদের ‘আশারায়ে মুবাশশারা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। শুধু তাই নয়, তিনি প্রখ্যাত মুসলিম জেনারেলদের একজন।
Total Reply(0)
Harun Ur Rashid ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
ঐতিহাসিক গবেষণা অনুসারে, আবিসিনিয়া (বর্তমান ইথিওপিয়া) থেকে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম, আসামের কামরূপ ও মণিপুর হয়ে চীনের ক্যান্টন পৌঁছেছিলেন সাহাবীদের দলটি। পরে তারা ফিরে যান। এরপর আবার দ্বিতীয়বার একই উদ্দেশ্যে চীন আসেন সা’দ (রা)। ৬৫০-৫১ খিস্টাব্দে তিনি তৃতীয়বার এই দেশে আসেন। তবে এবার এসেছিলেন সরকারি দায়িত্ব নিয়ে। সময়টা ছিল খলিফা উসমানের (রা) শাসনামল। সা’দকে (রা) ইসলামি খেলাফতের রাষ্ট্রদূত করে চীনে পাঠানো হয়েছিল এবং তৎকালীন চীন সরকারও তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছিল।
Total Reply(0)
Jahir Ebrahim ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
প্রকৃতপক্ষে ইসলামপূর্ব চীনের দক্ষিণ উপকূলে বাণিজ্যের জন্য যাতায়াত করতেন আরব বণিকরা। সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস দেশটিতে রাষ্ট্রদূত হয়ে আসার পর আর আরবে ফিরে যাননি। তার সমাধিও হয়েছে চীনে। দেশটির ক্যান্টনে আছে তার নির্মিত হুয়াইশেং মসজিদ। এটিকে ‘লাইট হাউস মসজিদ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। ইতিহাসবিদদের একটি অংশ মনে করেন, এ সময় তাঙ সাম্রাজ্যের সম্রাট গাওজং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। আস্তে আস্তে চীনে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ইসলাম। এক পর্যায়ে ইসলাম দেশটির রাষ্ট্রীয় ধর্মের একটি হয়ে ওঠ
Total Reply(0)
Kabir Sardar ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
ধীরে ধীরে বিভিন্নভাবে ইসলাম প্রচার হয়েছে চীনে। মুসলিমরা পারস্য ও মধ্যএশিয়া জয় করার পর সেখান থেকে প্রশাসক, সেনা জেনারেল ও অন্য নেতাদের পাঠানো হতো দেশটিতে। চীনে ইসলাম প্রচারের আরো ব্যাপক সূচনা ঘটে বনু উমাইয়ার সময়কালে। এ সময় চীনাদের সঙ্গে আরবীয়দের কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়। পরে যখন চীনা সম্রাট সোয়ানসোংকে জনৈক ষড়যন্ত্রকারী সিংহাসনচ্যুত করেন, তখন তার পুত্র তৎকালীন খলিফা মানসুর আব্বাসীর কাছে সাহায্য চান। খলিফা তার সাহায্যে চার হাজার সৈন্য পাঠান ও সোয়ানসোংকে আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেন।
Total Reply(0)
Taaniyaa Rahman ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 0
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর চীনে আর ভালো নেই ইসলাম। শুরু থেকে ইসলামের সঙ্গে চীনের যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, সেখান থেকে দূরে সরে গেছে দেশটি। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নামে নানাভাবে দমন করা হয়েছে মুসলিমদের। ‘সমাজতন্ত্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে অনেক মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছে, বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির ‘রেড গার্ড’ বাহিনী। বর্তমানে চীনে মুসলিম নারীদের পর্দা নিষিদ্ধ, পুরুষের দাড়ি রাখা নিষিদ্ধ, রমজানে রোজা রাখা নিষিদ্ধ। সর্বশেষ ইসলামি নাম রাখাও নিষিদ্ধ করেছে চীনা প্রশাসন।
Total Reply(0)
Mostofa ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৯:৩৫ এএম says : 0
@Taaniyaa Rahman: Your comment on China is not true. Except Xinjiang province, all China are free to conduct pray, following Ramadhan and everything. Praying at my office own personal room. there is no problem. Without knowing detailed information, you can't make comments like this way. For Xinjiang issue, that is different story.
Total Reply(0)
Habib ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:৪০ পিএম says : 0
দেড় হাজার বছর আগে হেরা পর্বতের গুহায় যে নুর নাজিল হয়েছিল, অল্প সময়ের মধ্যেই তার আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে। মুহাম্মদ (স) ইসলাম প্রচার শুরু করার পর যারা এই নতুন জীবন বিধান মেনে নিয়েছিলেন, তারাও আর স্থির থাকেননি- মানবতার কল্যাণে অন্যদেরও এই বিধান গ্রহণের আহ্বান জানাতে থাকেন। আরব ভূখণ্ড থেকে কুরআনের আহ্বান ছড়িয়ে পড়েছিল ভারত, চীন, পারস্য, আফ্রিকা ও ইউরোপের প্রতিটি প্রান্তে।
Total Reply(0)
ইফতেখার আনাম ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৬ পিএম says : 0
জ্ঞান অর্জনের জন্য চীনে যাও-- কথাটি হাদিসের নাম জাল মিথ্যা .
Total Reply(0)
সাইয়েদ আনিসুর রহমান ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ৪:৩৯ পিএম says : 0
কিন্তুু আফসোস,আজ সেই চীনেই মুসলমানদের উপর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চলছে ৷ আসুন আমরা সবাই প্রতিবাদ করি ৷ প্রতিরোধের ফিকির করি ৷ বিশেষত মাজলুমানদের জন্যে রাতের জায়নামাজে কান্নাকাটি করি ৷
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন