রাসূলের আনুগত্য করার জন্য স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালাই আদেশ করেছেন। শুধু তাই নয় রাসূলের আলোচনাকে তিনি সমুন্নত করেছেন যেখানে আল্লাহর যিকির সেখানে নবীর যিকির। কিন্তু বর্তমানে একদল সালাফীরা মনগড়া ফাতোয়া দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। যেখানেই নবীজির শান ও মান সেখানেই তাদের লাগামহীন বিভ্রান্তিকর ফতোয়া। তাই ফেতনাবাজ বাতিলদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল হাদীয়ে বাঙ্গাল শাহ কারামাত আলী জৈনপুরী (র.) এর ১৫০ তম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল উপলক্ষে রংপুর মাজার প্রাঙ্গনে ইসলামী মহা সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী পীর সাহেব জৌনপুরী হুজুর একথা বলেন।
পীর সাহেব জৌনপুরী আরো বলেন, কুরআন সুন্নাহের বাইরে কোন তরিকা নেই। বাংলা ভারত এতদঞ্চলে সুন্নাহ্র প্রচার ও প্রসারে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে মুশরেক ভন্ডপীরদের থেকে মুক্ত করে এক কোটি লোকদেরকে মুসলমান বানিয়েছিলেন। এবং ইসলামি তাহজিব তামাদ্দুন শিক্ষা দিয়ে আরো এক কোটি লোকদেরকে ইসলামে দীক্ষিত করেছিলেন। তিনি হলেন হাদিয়ে বাঙ্গাল শাহ কারামাত আলী জৌনপুরী (র.)। দাঈ ই’লাল্লাহ হিসাবে তিনি দাওয়াত ও তাবলীগে পুর্নাঙ্গ সফলকাম হয়েছিলেন। আর তা একমাত্র কুরআন সুন্নাহ্ অনুযায়ী খেদমত করার কারণেই হয়েছিল। তাই আজ যারা সুন্নাহ্র বাইরে গিয়ে দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করছে তাদেরকে অবশ্যই স্বরণে রাখতে হবে কুরআন সুন্নাহ্র বাইরে কোন তরিকা নেই।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা তৈয়্যব আহমাদ সিদ্দিকী জৌনপুরী, মাওলানা এহসানুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী, মাওলানা আনজার আহমাদ সিদ্দিকী জৌনপুরী, মাওলানা সোমামা আহমাদ সিদ্দিকী জৌনপুরী, মাওলানা ক্বারী ওবায়দুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী জৌনপুরী। পরিশেষে হাজার হাজার শ্রোতাদেরকে নিয়ে পীর সাহেব বিদায়ী মুনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া পরিচালনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন