বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপের অনেক রোগী আছে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা রকম জটিলতা হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের খুব সতর্ক থাকা উচিত।
এই রোগীদের উচিত প্রেসক্রিপশন মেনে চলা। অনেক রোগী প্রেসক্রিপশনে ২টি প্রেসারের ওষুধ থাকলে ১টি খান। কেউবা আবার ১টি লেখা থাকলে অর্ধেক খান। এটি অনেক বড় বিপদের কারণ হতে পারে। একাজ থেকে অবশ্যই রোগীদের বিরত থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধের ডোজ পরিবর্তন কোভাবেই করা যাবে না।
অনেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খান আবার অতিরিক্ত লবন ও চর্বিও গ্রহণ করেন। অতিরিক্ত লবন ও চর্বি গ্রহণে নানারকম স্বাস্থ্য সমস্যা হয়। ওজন বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ আর নিয়ন্ত্রণে আসতে চায়না। বরং চর্বি কমাতে প্রতিদিন হাঁটতে হবে অথবা ব্যয়াম করতে হবে।
ধূমপান, জর্দা, তামাক পাতা, গুল একেবারেই বর্জন করতে হবে। হাই প্রেসারের রোগীদের জন্য এগুলো খুব বিপদজনক। এর ফলে অনেক মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।
দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন গড়তে হবে। যদিও বর্তমান বাস্তবতায় এটি প্রায় অসম্ভব। সমাজে জটিলতা বাড়ছে। স্ট্রেসে বিভিন্ন হরমোন বাড়ে। এর ফলে উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয়। তবে দুশ্চিন্তা যখন দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তখন অবশ্যই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস থাকলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা নাহলে প্রেসার ও ডায়াবেটিস একত্রে অনেক বেশী জটিলতা তৈরী করতে পারে। ডায়াবেটিস ও প্রেসার যার একসাথে আছে তার মৃত্যু ঝুঁকি অনেক বেশী।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে অনেক ভুল ধারণা সমাজে আছে। এগুলো নিরসন হওয়া দরকার। চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ যেমন শুরুও করা যাবেনা আবার তেমনি বন্ধও করা যাবে না। ব্যবস্থাপত্রে ওষুধ যেভাবে লেখা থাকবে সেভাবেই খাওয়া উচিত। তাহলে জটিলতা কমে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন