শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফতুল্লায় অজ্ঞাত তরুণী হত্যার লোম হর্ষক জবানবন্দি

ক্লু উদ্ধারে সফল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:২০ পিএম

ফতুল্লা থেকে অজ্ঞাত ২২ বছরের তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শুক্কুর আলী ও টিক্কা রাকিব নামে আরও দুই জন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা বলেছে গণধর্ষণ ও হত্যার পূর্বে মেয়েটির গা পুড়ে যাওয়ার মত প্রচণ্ড জ্বর ছিল।
বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. কাউছার আলমের আদালত শুক্কুরের ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবীরের আদালত টিক্কা রাকিবের লোমহর্ষক এ জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
শুক্কুর (২২) খাগড়াছুড়ি জেলার দীঘিনালা থানার ছোট মেরুল ২নং কলোনী ট্রষ্ট টিলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও টিক্কা রাকিব (২০) চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার গাজীবাড়ী গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লায় বসবাস করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা বলেন, গ্রেফতারকৃত শুক্কুর আলী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক। জবানবন্দিতে শুক্কুর আলী জানিয়েছে, মেয়েটি মানুসিক প্রতিবন্ধী ছিল। ৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টায় শহরের কলেজ রোডে ঘুরতে দেখে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় উঠিয়ে কাশিপুরের ভোলাইল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে মেয়েটির গায়ে হাত দিয়ে দেখে শরীরে প্রচণ্ড জ্বর গা পুড়ে যাওয়ার মত ও মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। এ অবস্থায় তারা ৮ জন মাঠে নিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর লাশ উদ্ধারের সময়ে পড়নে ছিল সোয়েটার, চাদর ও পায়জামা। ধারণা করা যাচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ওই যুবতীকে অন্য কোথাও ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন