বার কাউন্সিলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্স থেকে প্রাপ্ত সনদের স্বীকৃতি মিলছেনা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিভাগের বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ এনে বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেয়। বার কাউন্সিলের স্বীকৃতি পেতে আইন বিভাগের শিক্ষক এবং ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধীনে দুই বছর মেয়াদী সান্ধ্যকালীন এল.এল.বি (পাশ) কোর্স ২০১৪ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখন পর্যন্ত এ কোর্সের অধীনে ৫টি ব্যাচ কোর্স সম্পন্ন করেছে। এছাড়া আরও ৪টি ব্যাচ চলমান রয়েছে। কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীদের বার কাউন্সিলে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের স্থগিতাদেশ দেয়। এ মর্মে চিঠি দিয়ে ওই কোর্স সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য-উপাত্ত বার কাউন্সিল সচিব মো: রফিকুল ইসলাম বরাবর পাঠানের নিদের্শ দেয়া হয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর নির্দেশের আলোকে তথ্য দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে রেজিস্ট্রেশন না পেয়ে আন্দোলনে নামেছে শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আইন বিভাগে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে ৯টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহন করে। সকাল দশটায় ৮ম ও ৯ম ব্যাচের পরীক্ষা হবার কথা ছিল। কিন্তু আন্দোলনের কারনে পরীক্ষা শুরু করতে পারেনি শিক্ষকরা। পরে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ৪ ঘন্টা পর পরীক্ষা নেবার সিদ্ধান্ত নেয় বিভাগ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বার কাউন্সিলে পরীক্ষার আবেদন করতে গেলে ইবি’র ইভিনিং প্রোগ্রামের (এলএলবি) কোন নিবন্ধন নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আমাদের পরিশ্রম করে এত টাকা দিয়ে সময় নষ্ট করার তো কোন মানে হয় না। বিভাগের পক্ষ থেকে দ্রুত এর সমাধান করতে হবে। না হলে আমরা আবারো আন্দোলনে নামবো।’
এদিকে বার কাউন্সিলের স্বীকৃতি পেতে আইন বিভাগের শিক্ষক এবং ভূক্তভোগী শিক্ষার্থীরা রোববার সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সাক্ষাৎ করে। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলো ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, আইন ও শরীয়াহ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রেবা মন্ডল, আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফসহ আইন বিভাগের শিক্ষক এবং ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বার কাউন্সিল কর্তৃক চাহিত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাঠিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। তার আগ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন পাবে কি পাবেনা তা বলা যাবে না। আমরা ভিসি স্যারের সাথে দেখা করেছি আশা করছি বিষয়টি খুব দ্রুত সমাধা হবে।
ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন,‘ আইন বিভাগের সান্ধ্যকালীন কোর্সের সনদের বৈধতা নিয়ে একটু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় কথা বলে জটিলতা নিরষনের চেষ্টা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন