টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকার বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় একের পর এক ইটভাটা গড়ে উঠছে।
সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় বনাঞ্চল হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। সরকারি বিধান হলো, বনাঞ্চল থেকে কমপক্ষে ৩ কিলোমিটার দূরে ইটভাটা স্থাপন করা। কিন্তু সরকারি এই বিধান ভঙ্গ করে এ উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা বন বিভাগের বিট অফিস থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরত্বে দুটি ইটভাটা গড়ে ওঠে।
পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অজ্ঞাত কারণে বন বিভাগ থাকে নির্বিকার। পরে এ উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের পলাশতলী, চিতেশ্বরী, বেলতৈল, খাটিয়ার হাট, গোড়াই ইউনিয়নের রহিমপুর ও সৈয়দপুর, বাঁশতৈল ইউনিয়নের পাঁচগাঁও, তরফপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি বনাঞ্চল সংলগ্ন প্রায় ২০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ইটভাটার অধিকাংশই পাহাড়ি অঞ্চলের টিলা কেটে (উঁচু স্থান) স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন টিলা কেটে ভাটাগুলোতে মাটি আনা হচ্ছে। এতে পাহাড়ি অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে। টিলাগুলো কাটার ফলে যে কোনো সময় ওইসব এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলে এসব ইটভাটা স্থাপিত হওয়ায় সরকারি বনাঞ্চলের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে।
এসব ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় কোথাও কোথাও ফলদ বৃক্ষের (আম, কাঁঠাল, লিচু, বরই) ফল ধরা বন্ধ হয়ে গেছে।
এসব ইটভাটায় কাঠ চোরারাও সরকারি বনাঞ্চলের কাঠ কেটে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর বন বিভাগের রেঞ্জার সিরাজুল ইসলাম বলেন, বনাঞ্চল সংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলোকে বন বিভাগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তাছাড়া এসব ইটভাটার অধিকাংশরই কোনো লাইসেন্স নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সংশ্নিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়ে থাকে ।
মির্জাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইটভাটা স্থাপনের আগে জমিটি কয় ফসলিভুক্ত সে ব্যাপারে কৃষি বিভাগ ছাড়পত্র দিয়ে থাকে। # মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মির্জাপুর, ১৭-০২-২০১৯
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন