শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরসহ মোট ১৫ জন আহত হয়। জুনিয়র-সিনিয়রের মধ্যে বাকবিতক্রকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন ও সিনিয়র নেতা মুশফিকুর রহমান জিয়া সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত¡রে সাখাওয়াত ও জিয়ার অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতক্র হয়। পরে উভয় গ্রুপের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া গ্রুপের কর্মী সোহেল রানাকে মারধর করে সাখাওয়াতের অনুসারীরা। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শাহপরান হলের সামনে জিয়া গ্রুপের কর্মীরা সাখাওয়াতের অনুসারী আব্দুল বারী সজিব ও মাহবুবুর রহমানকে মারধর করে। এ জের ধরে উভয় গ্রুপ শাহপরাণ হলের সামনে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জাহিদ হাসান, সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল ও আইপিই বিভাগের শিক্ষক মাহাথির মোহাম্মদ বাপ্পী আঘাতপ্রাপ্ত হন।
বর্তমানে সাখাওয়াত গ্রুপের আব্দুল বারী সজিব ও রেজাউল করিম তানভীর এবং জিয়া গ্রুপের সোহেল রানা, সাব্বির ও মামুন শাহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, র্যাগিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকের এই সংঘর্ষ। আমার মোট সাতজন কর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে আব্দুল বারী সজিব ও রেজাউল করিম তানভীর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মুশফিকুর রহমান ভ‚ইয়া জিয়া বলেন, সাখাওয়াতের অনুসারীরা আমার কর্মীদের আগে মারধর করে। পরে বিষয়টি হল পর্যন্ত গড়ালে আমি আমার কর্মীদের শান্ত করে বঙ্গবন্ধু হলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এর মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যায়।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জাহিদ হাসান বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ। আমিসহ আরো দুজন শিক্ষকের গায়ে ইট পাটকেলের আঘাত লেগেছে। ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করে বিচারের প্রক্রিয়া চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন