সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নে আমজাদ হোসেন নামের এক ইউনিয়ন যুবদল নেতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দিকে ধান্যপুর গ্রামের খালপাড় থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আমজাদ হোসেন আমিশাপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড কেশবপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওই ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত জাতীয় নির্বাচনের দুই দিন আগে আমজাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর সে ঢাকায় চলে যায়। গত মঙ্গলবার ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। গতকাল দুপুরে নিজের বাড়ির পাশের একটি চা দোকানে বসে ছিলেন আমজাদ হোসেন। এ সময় মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা যোগে কয়েকজন অস্ত্রধারী তাকে জিম্মি করে তুলে নিয়ে যায়। পরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পাশ^বর্তী ধন্যপুর গ্রামের একটি খাল পাড়ে নিয়ে আমজাদকে পিটিয়ে ও গুলি করে ফেলে যায়। সোনাইমুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে রুপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদবাদদাতা জানান, সোহেল মিয়া (২৭) ছাত্রলীগ নেতার পায়ের রগ কেটে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বুধবার মধ্যে রাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের টাওড়া এলাকায় ঘটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল মিয়া ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি টাওড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, সোহেলের বন্ধু সিরাজসহ চার জনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন