পরকীয়ায় স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী ও প্রেমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত (২য়) এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই আদেশ দেন। একই সাথে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, নিহত নূরমহম্মদের স্ত্রী শাপলা খাতুন (৪০) ও প্রেমিক কবীরুল ইসলাম (৪৩)। নূরমহম্মদ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাঁচনল গ্রামের মুন্সি আব্দুল খালেকের ছেলে। আসামী কবীরুল ইসলাম একই গ্রামের আমিন ঢালীর ছেলে। তবে আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি অতিরিক্ত পিপি ফাহিমুল হক কিসলু মামলার বরাত দিয়ে জানান, পরকীয়ার জের ধরে আসামীরা ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে নিজ ঘরের মধ্যে নূরমহম্মদকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার ঘটনাটি নিহতের দুই শিশু পুত্র মোস্তাক আহম্মেদ ও মোস্তাক হাসান রিয়াদ দেখে ফেলে এবং পুলিশের কাছে জবানবন্দী দেয়। শাপলা খাতুনের আরো একটি মেয়ে রয়েছে।
এঘটনায় নিহতের বোন ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ধারা ৩০২ ও ৩৪ দন্ড বিধি। মামলায় আসামী করা হয় নূরমহম্মদের স্ত্রী শাপলা খাতুন ও শাপলার প্রেমিক কবীরুল ইসলামকে। মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন ভাবী শাপলার সাথে কবীরুলের পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। বিষয়টি জানাজানি হলে তার ভাই নূরমহম্মদ স্ত্রী শাপলাকে সংশোধন হওয়ার জন্য বাড়ীতে নজরদারিতে রাখেন। এরই জের ধরে সুপরিকল্পিতভাবে তাকে শ্বাস রোধে হত্যা করা হয়। মামলায় ২২ জন স্বাক্ষী দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন