ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে অংশগ্রহণ করবেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। এ খবর সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিশ্ব গণমাধ্যমেও বেশ ফলাও করে প্রচার পেয়েছে। তবে আসল সত্য হয়তো কেউ জানতেন না। যে সত্য গেল বৃহস্পতিবার সাল্লু তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন। সালমান তার নিজের টুইটারে লিখেছেন, ‘বেশ কয়েকদিন ধরে নানা গুজব উড়ছে। আমি নাকি নির্বাচন করবো। আসল সত্যিটা হলো আমি নির্বাচন করছি না। আর এটাও পরিষ্কার কোনো দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারেও নিজেকে জড়াতে চাই না।’
এদিকে কয়েকদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ নিশ্চিত করেছিলেন যে সালমান মধ্যপ্রদেশের পর্যটন ও সংস্কৃতির হয়ে প্রচারে নামছেন। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে শোনা গিয়েছিল ভোটের প্রাক্কালে সুলতান নাকি কংগ্রেসের হয়ে প্রচারে নামবেন। তবে ভারতের কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে কংগ্রেসের মুখপাত্র পঙ্কজ চতুর্বেদী জানিয়েছেন, দলের বেশ কয়েকজন নেতা এই বলিউড অভিনেতার সঙ্গে কথা বলেছেন কংগ্রেসের হয়ে ইন্দোরে প্রচারের নামার জন্য। আর তাই কংগ্রেসের হয়ে ভাইজানের প্রচারে নামাটাও একপ্রকার ইতিবাচক হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন তারা। তবে সাল্লুর এ টুইট বার্তায় সেই গুড়ে বালি পড়লো।
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা জোগানোর জন্য বলিউডের বেশ ক’জন প্রথম সারির অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে আবেদন জানিয়ে টুইট করেছিলেন। তাদের মধ্যে নাম ছিল এই সুপারস্টারেও। মোদির এই প্রস্তাবকে শুরুতে নিজের টুইটারে সমর্থন জানিয়েছিলেন ভাইজানও। মোদীর ওই টুইট বার্তার উত্তরও দিতে দেখা গিয়েছিল সাল্লুকে। সালমান তখন নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে নিজের টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র এবং প্রত্যেক ভারতীয়েরই অধিকার রয়েছে ভোট প্রদানের। আমি প্রত্যেক যোগ্য ভারতীয়কে নিজের অধিকার কাজে লাগাতে এবং সরকার গঠনে অংশগ্রহণ করতে আবেদন জানাচ্ছি।’
তবে ওই টুইটের পাশাপাশি ভাইজান আরেকটি টুইটও করেন, যেখানে তিনি এটা পরিষ্কার করে দেন যে ভারতীয় জনতাকে ভোট প্রদানের জন্য আবেদন জানালেও তিনি সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন না। কিংবা নির্বাচন প্রার্থী হিসেবেও লড়বেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন