বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার গহীন অরণ্যে মিয়ানমার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সেনাবাহিনী-র্যাব ও যৌথবাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে ব্রাশফায়ারে সাতজন হত্যাকাÐের ঘটনার প্রধান আসামি জ্ঞান শংকর চাকমা নিহত হয়েছেন। এ সময় ৭ টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি, ১১টি ম্যাগজিন ও চাঁদাবাজির ৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলায় সাতজন প্রাণ হারান এবং গুরুতর আহত হন আরো ১৯ জন।
ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু করে। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহম্মদ জানান, বাঘাইছড়ির হামলায় অংশগ্রহণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আরো নাশকতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ জন্য তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে আবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতেন। সন্ত্রাসীদের একটি দল এক পর্যায়ে সেনা টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় র্যাবের পাতা ফাঁদে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলির মুখে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তলাশী চালিয়ে একটি লাশসহ মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যায় তার নাম জ্ঞান শংকর চাকমা। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার পৌর এলাকার হামেস চাকমার ছেলে। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করে যে, জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চিফ কালেক্টর।
সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার শাহিদুল এমরান জানান, সেনাবাহিনী-র্যাব-বিজিবি সদস্যরা যৌথ ভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির হত্যাকাÐের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা সীমান্তে অবস্থান নেয়ার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন