পূর্ব সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১০ জেলেকে উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছেন পুলিশ। বাগেরহাটের রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থানা পুলিশ এ অভিযান শুরু করেন। এদিকে, দস্যুদের কবল থেকে ছয় দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় জেলেদের পরিবারে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। কান্নার রোল পড়েছে অপহৃতদের পরিবারে। সন্তানকে ফেরত পেলে আর কোনোদিন সুন্দরবনে পাঠাবেন না বলে জানান তারা।
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ সাইদুর রহমান ও শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন জানান, অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে র্যাব ও কোষ্টগার্ডের পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে চারটি থানা থেকে পুলিশের পৃথক চারটি টিম সুন্দরবনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। খুব শিগ্রই তাদের অভিযান সফল হবে বলে আশা করছেন তারা।
শরণখোলার দক্ষিন রাজাপুর গ্রামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, সকালে (মঙ্গলবার) দস্যুদের আস্তানা থেকে তার নৌকার এক জেলে মোবাইল ফোন করে জানিয়েছেন, দস্যুরা তাদের ওপর নির্যাতন করছে। মুক্তিপণের টাকা না পেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোররাতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খালে জেলেবহরে হানা দিয়ে সশস্ত্র দস্যুদলটি ১০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। জেলেপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে দস্যুরা। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাট সদরের ডেমা, মোংলা ও রামপাল এলাকায়। ওই মৎস্য ব্যবসায়ী আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলেদের উদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বাগেরহাটের ডেমা এলাকার অপহৃত জেলে সোহেল মল্লিকের পিতা হাবিব মল্লিক ও মা ঝর্ণা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে মুঠোফোনে বলেন, ছেলেডারে ডাকাতি ধইরে নিয়ে গেইছে। ছাড়ায়ে আনতি মেলা টাকা চাচ্ছে। আমরা গরিব মানুষ এতো টাকা কোয়ানে পাবো। আপনারা আমাগো ছেলেডারে ফেরত আইনে দেন। একবার আনতি পারলি আর কোনো দিন ওরে সুন্দরবনে কাড়া (কাঁকড়া) ধরতি পাঠাবো না।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা সদর দপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মামুনুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে সব তথ্য বলা যাবে না। তবে, শিগগিরই একটা ভালো খবর দিতে পারবো। আমরা অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। অভিযান অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন