মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন বাংলাদেশীসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩৪ জন। রোববার দিবাগত রাতে কেএল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের এমএএস কার্গো জালান এস ৮ পেকেলিলিংয়ের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি নীলাই, নেগরি সেম্বিলান থেকে শ্রমিকদের নিয়ে কর্মস্থলের দিকে যাচ্ছিল।
মালয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় শ্রমিক বহনকারী ওই বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন শ্রমিক নিহত হন। নিহত ছয় জনের মধ্যে পাঁচ জনের পরিচয় জানা গেছে, এরা হচ্ছে, কুমিল্লার মো. রাজীব মুন্সি (২৬) পিতা ইউনুস মুন্সি, চাঁদপুরের মো. সোহেল (২৮) পিতা আনোয়ার, মুহিন (৩৭) পিতা তাজুল ইসলাম, আল আমিন (২৫) পিতা আমির হোসেন এবং নোয়াখালির গোলাম মোস্তফা (২২) পিতা নুর মোহাম্মদ। আহতরা হচ্ছে, নাজমুল হক, মো. রজিবুল ইসলাম, ইমরান হুসাইন, জাহিদ হাসান, শামিম আলী মোহাম্মদ ইউনুস, ও মো. রাকিব। মালয়েশিয়ায় সফররত ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশী শ্রমিক নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত আদায় করে তাদের লাখ আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেয়ার জন্য কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
পরে সার্ডাঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে এই ঘটনায় গুরুতর আহত এক বিদেশি ও স্থানীয় বাস চালক মারা যান। কেএলআইএ ওসিপিডি সহকারী কমিশনার জুলকিফলি আদমশাহ বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটি ৪৩ জন শ্রমিক বহন করছিল। তারা এমএএস কার্গোতে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করতেন। তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত বাকি ৩৪ জনকে চিকিৎসার জন্য কাজাং, সার্ডাং ও পুত্রাজায়াসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে লেবার কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত ৫ বাংলাদেশীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা চলছে। যারা নিহত হয়েছেন আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দ্রুত তাদের লাশ দেশে পাঠানো হবে। এছাড়া হতাহতদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন