সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুবিতে শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধর

কুবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০১ এএম

কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয়ে (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা। গত বুধবার রাতে বিশ^বিদ্যালয়ের কাঁঠাল তলায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মারধরের শিকার ঐ শিক্ষার্থী গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, বুধবার রাত ৮ টায় ক্যাম্পাসের কাঁঠাল তলায় নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম এবং প্রত্মতত্ব বিভাগের ১১তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে যান বিশ^বিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাসান বিদ্যুৎ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হাসান হিমেল। এক পর্যায়ে ঐ ছাত্রীর সাথে অসদাচারণ করলে শরিফ বাধা দেন। তখন শরিফকে বেধড়ক মারধর করেন শাখা ছাত্রলীগের এ দুই নেতা। এতে শরিফের কপালের একাংশ ফেটে যায়। মারধর থেকে বাঁচতে দৌড়ে ক্যাম্পাস গেটে গেলে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত শরিফকে পার্শ্ববর্তী একটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার কপালে চারটি সেলাই করেন। জানা যায়, প্রত্মতত্ব বিভাগের ঐ ছাত্রী নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের সক্রিয় ছাত্রলীগকর্মী।
মারধরের শিকার শরিফ জানান, হিমেল আমার এক ব্যাচ জুনিয়র। আর তাকে আমি ঠিকভাবে চিনিও না। বিদ্যুৎ ভাই আমাদের ডেকে নিয়ে যাওয়াতে আমরা তার সাথে যাই এবং এর পরে হিমেল আমার সাথে থাকা প্রত্মতত্ব বিভাগের এক ছোট বোনের সাথে অসদাচরণ করতে চাইলে আমি বাধা দেই। এতে হিমেল ক্ষুব্ধ হয়ে আমার উপর আক্রমণ করে। একজন সিনিয়র হয়ে জুনিয়রের হাতে মার খাওয়া লজ্জার। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রক্টর বরাবর লিখিত দিয়েছি এবং ৭২ ঘন্টার ভিতরে শাস্তি দাবি করছি।
অভিযুক্ত হাসান বিদ্যুৎ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি এবং ঐ ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ছিল। আমিতো ঐ ছাত্রীকে বাঁচাতে চেয়েছি। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে এ ছাত্রলীগ নেতা আবার ফোন দিয়ে মারধর করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শরিফ শিবির করে তাই আমরা ২জন মিলে তাকে মারধর করেছি। এদিকে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করা হলেও অভিযুক্ত হিমেলের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, মারধরের পর আমি ছেলেটিকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার খরচের ব্যাবস্থা করেছি। এ বিষয়টি নিয়ে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিব।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত নিব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন