শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেসিকে আটকাতে চাই খাঁচা!

‘আয়াক্স-টটেনহ্যামও শিরোপার দাবিদার’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

লিওনেল মেসিকে ম্যান-টু-ম্যান মার্কিংয়ে আটকাতে গিয়ে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওই উদাহরণ টেনে লিভারপুলকে সতর্ক করে দিয়েছেন হোসে মরিনহো। পর্তুগিজ কোচের মতে, বার্সেলোনা তারকাকে আটকাতে হলে তার চারপাশে তৈরি করতে হবে খাঁচা!
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে শেষ আটে পোর্তোকে হারানো লিভারপুল। আরেক ইংলিশ ক্লাব ইউনাইটেডকে দুই লেগেই হারিয়ে মোট ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে শেষ চারে উঠেছে কাতালান ক্লাবটি। গত সপ্তাহে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যু’য়ে ফিরতি পর্বে বার্সেলোনার ৩-০ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেন মেসি। দারুণ ছন্দে থাকা আর্জেন্টাইন তারকা চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৫ গোল করেছেন।
স্বরূপে থাকা সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে আটকাতে লিভারপুলের তাই বিশেষ পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করেন ইউনাইটেডের সাবেক কোচ মরিনহো, ‘মেসিকে বুঝতে পারা সহজ, কিন্তু তাকে আটকাতে খাঁচা তৈরি করা সহজ নয়। কারণ সে ডান দিক থেকে আসে এবং তারপর মাঝে থাকে। খুব কঠিন বিষয়। মেসির পায়ে যখন বল থাকে তখন ওয়ান-অন-ওয়ানে আপনি শেষ। তাই মেসির বিপক্ষে আমি কখনোই ম্যান-টু-ম্যান মার্কিং পছন্দ করি না। আপনার একটা খাঁচা তৈরি করতে হবে।’ এই দুই দলের লড়াইয়ে গতবারের রানার্সআপ লিভারপুলের সম্ভাবনাও কম দেখছেন না মরিনহো, ‘আমি বলব যে, লিভারপুলের চেয়ে বার্সেলোনা কিছুটা এগিয়ে আছে। তবে আমার এটাও মনে হয় সম্ভাবনা ৫০-৫০।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই জায়ান্ট বধ করে সেমিফাইনালে উঠেছে টটেনহাম ও আয়াক্স। ফাইনালের লড়াইয়ে তারা একে অপরের মুখোমুখি হবে। যে কোনও এক দল উঠবে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। এই দুই দলের কেউ চ্যাম্পিয়ন হলে অবাক হবেন না সাবেক ম্যানইউ, রিয়াল ও চেলসি কোচ। রাশিয়া টুডেকে মরিনহো বলেছেন, ‘দুই দলের জন্য আমি সত্যি খুশি। সবসময় আমি বলি যে যখন আপনি কোয়ার্টার ফাইনালে তখন কোনও একটা কারণ অবশ্যই আছে।’
মরিনহো আরও যোগ করেছেন, ‘গ্রুপ পর্বে হয়তো ভাগ্য সহায় থাকে কিংবা কখনও আপনার প্রতিপক্ষ ততটা ভালো থাকে না, শেষ ষোলোর ড্রতেও সৌভাগ্যের ছোঁয়া থাকতে পারে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনাল হলো সমীহ পাওয়ার জায়গা, আমি সবসময় বলি এই পর্বে প্রত্যেক দলের (জেতার) সাড়ে ১২ শতাংশ সুযোগ থাকে। আর সেমিফাইনালে সেটা বেড়ে যায় ২৫ শতাংশে। আয়াক্স কিংবা টটেনহাম চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে আমি অবাক হবো না।’
লিভারপুল, বার্সেলোনা ছাড়াও শেষ চারের বাকি দুই দল টটেনহ্যাম হটস্পার ও ডাচ ক্লাব আয়াক্স। ৩০ এপ্রিল টটেনহ্যামের নতুন স্টেডিয়ামে আতিথেয়তা নিবে আয়াক্স। ১ মে ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনার সঙ্গে লড়বে লিভারপুল। ৭ মের দ্বিতীয় লেগে অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা পাবে বার্সেলোনা। আর ৮ মে ফিরতি লেগে ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় টটেনহ্যাম মোকাবেলা করবে আয়াক্সের। আগামী ১ জুন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
গত চার বছর ধরে খালি হাতে ফিরে আসার শোধ তুলতেছে
Total Reply(0)
Metoo Islam ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
বার্সেলোনা - ইউনাইটেড ম্যাচের ১ম লেগ ইউনাইটেডে হয়েছিলো, ২য় লেগ বার্সায়। তাহলে ক্যামনে কি !!!!!
Total Reply(0)
একজন সত্যান্বেষী ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
প্রথমে বার্সা ফ্যানদের থেকে যে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছিল...২য় লেগ শেষে যারা বার্সাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করেছিল, তাদের টিকিট দেখিয়ে টাকা নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল...!!!! অসম্ভব ভালো একটা প্লানিং ছিল ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে !
Total Reply(0)
SaiFuL IsLaM RoNy ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৪ এএম says : 0
এবার উচল, লীগ, কোপা, ব্যালন, গোল্ডেন বুট, পিচিচি, উয়েফা বেস্ট, ফিফা বেস্ট সব গুলা মেসিই পাবে
Total Reply(0)
Ashikur Rahman Rizwan ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৪ এএম says : 0
মাছি নিধব করুণ, বস্তিবাসী বাসিকে খুশি করুন
Total Reply(0)
Md Kamal Mollah ২১ এপ্রিল, ২০১৯, ২:২৩ এএম says : 0
মেসি- নেইমার-রোনালদো কি ফুটবল খেলে? ফুটবল খেলতাম আমরা। বাপরে বাপ খেলা কারে কয়! খেলার আগে গেম প্ল্যান অনুসারে সবার পজিশন ঠিক হল। তোরা তিনজন ডিফেন্সে, আমরা দুইজন মিডফিল্ডে, তুই ডানে, তুই বামে। আর তুই মেইন স্ট্রাইকার।খেলায় অফসাইড নাই। তুই (মেইন স্ট্রাইকার) ওদের গোলবারে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে গোলকিপারের সাথে গল্প কর। নিচে নামার দরকার নাই। শুধু আমরা বল আগায় দিলে গোল করবি। খবরদার, মিস হওয়া চলবে না। তারপর খেলা শুরু হওয়ার দুই মিনিট পর পজিশন-টজিশন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার অবস্থা। ডিফেন্ডার চলে গেছে গোল করতে, স্ট্রাইকার এসে ডিফেন্স সামলাচ্ছে। আরো পরে দেখা গেল মাঠের এক কোণায় একটা জটলা। জটলার মাঝখানে বল। বল যেখানে দুই টিমের গোলকিপার বাদে বাকি সব খেলোয়াড় সেখানে। যে যেদিক থেকে পারতেছে সেদিক থেকে লাত্থি মারতেছে। কিন্তু বল বেচারা বের হওয়ার জায়গা পাচ্ছে না। মাঠে কাদা থাকলে আরেকটা দৃশ্য দেখা যায়। জটলার ভিতর লাত্থালাথি চলতেছে। এক এক জন বলে অলরেডি তিনবার করে লাত্থি দিয়েছে, অথচ বল দুই ইঞ্চিও নড়ে নাই। আরেকজন দৌড়ে এসে স্লিপ, এক স্লিপে দশ হাত গিয়ে বলে মারা। হঠাৎ একজন একহাতে চোখ ধরে চিল্লায় উঠল ‘ঐ, আমার চোখে কাদা পড়ছে’। তারপর আরেক চোখ খোলা রেখে পাশের পুকুরে ঝুপ করে দিল লাফ। কাদা-পানির ভারে আরেকজনের প্যান্ট কোমর ছেড়ে অভিকর্ষের টানে ভূ- কেন্দ্রের দিকে ছুটছে। খেলার শুরু পাঁচ মিনিট পর গোলকিপারের চিল্লানি শুরু করছে। সে অলরেডি ৫ মিনিট গোলকিপিং করে ফেলেছে। এখন আরেকজনকে গোলকিপার হতে হবে। সে এখন স্ট্রাইকিং-এ খেলবে। এরপর আগের স্ট্রাইকার সরাসরি গোলকিপিং-এ চলে এলো ৷ এভাবেই সব প্লেয়ার গোলকিপিং, ডিফেন্স, মিডফিল্ড, স্টাইকিং সব পজিশনে খেলে ফেলে পুরাই অলরাউন্ডার । অথচ এই মেসি,নেইমার ,রোনালদো তারা একটা পজিশনে খেলে। ভালো খেলোয়ার হতে হলে ,আমাদের মতো সব খানেই খেলার যোগ্যতা থাকতে চাই,,,,,,,
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন