শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

১৮০০ কেজি মাংস নিয়ে কাতারে মেসি-সুয়ারেজরা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাংস ভোক্তা দেশ লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে। সারা বিশ্বে গরুর মাংস উৎপাদন ও রপ্তানিতে শীর্ষ এ দুই দেশ। আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ের খাদ্য তালিকায়ও গরুর মাংসের বিভিন্ন খাবারের উপস্থিতি থাকে। দুই দেশে মাংসের বারবিকিউ ও বিশেষভাবে তৈরি ‘আসাদো’ নামের একটি খাবার ব্যাপক জনপ্রিয়। সাধারণত যেকোনো উৎসবে ‘আসাদো’ খাদ্য তালিকায় থাকেই। বিভিন্ন কাটিংয়ের মাংস এবং সসেজ দিয়ে তৈরি ‘আসাদো’। যা আর্জেন্টিনা-উরুগুয়েতে খুবই জনপ্রিয়।
লিওনেল মেসিরা বিশ্বকাপ খেলতে যাবেন আর সঙ্গে ‘আসাদো’ থাকবে না, তা কী করে হয়? তাই আসাদো তৈরি করা এবং নিয়মিত মেসিদের খাবারের মেন্যুতে এই খাদ্য পরিবেশন করার জন্য ২০০০ পাউন্ড (প্রায় ৯০০ কেজি) মাংস আর্জেন্টিনা থেকে কাতারে আনা হয়েছে। শুধু আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্যই নয়, একই ধরনের খাবারের জন্য উরুগুয়ে থেকেও ২০০০ পাউন্ড (প্রায় ৯০০ কেজি) মাংস কাতারে লুইস সুয়ারেজদের ক্যাম্পে আনা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে ইএসপিএন।
এ দুই দল মিলে শুধু যে ৪০০০ পাউন্ড (১৮০০ কেজি) মাংসই কাতারে এনেছে তা কিন্তু নয়, আনানোই নয়, তারা সঙ্গে নিজ নিজ দেশ থেকে রাঁধুনি (শেফ), রন্ধনপ্রনালির যাবতীয় অনুসঙ্গও নিয়ে এসেছে দোহায়। বিশ্বকাপজুড়ে দোহায় বসেই ঘরের খাবারের স্বাদ উপভোগ করবেন মেসি-সুয়ারেজরা।
উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনের (এইউএফ) সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো বলেন, ‘বিদেশে উরুগুয়ের ঐতিহাসিক প্রতিনিধি হচ্ছে ফুটবল দল। এক প্রতিনিধি কাতারে আরেকটি প্রতিনিধিকে নিয়ে গেছে, সেটা হচ্ছে উরুগুয়ের মাংস, যা বিশ্বসেরা।’
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি খাবারের চেয়েও বেশি কিছু খুঁজে পান ‘আসাদো’য়। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমরা যখন কথা বলি, হাসি, নির্ভার থাকি, অন্যদের সঙ্গে মিশি, তখন ‘আসাদো’ থাকে আমাদের সঙ্গে। এটি আমার প্রিয় খাবার। তবে এখানে ব্যাপারটা আরও বড়। এর মাধ্যমে কাতারে দলের ভেতরে রসায়ন বেশি মজবুত হবে, একতা বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি হবে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন