দুই দফায় নেওয়া পেনাল্টি শটে ব্যর্থতার কিছুক্ষণ পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন কিলিয়ান এমবাপে। আগে থেকেই নেই নেইমার, স্বাভাবিকভাবে ভীষণ চাপ পড়ে লিওনেল মেসির ওপর। শঙ্কা কাটিয়ে দলকে সামনে থেকে পথ দেখালেন আর্জেন্টাইন মহাতারকার। দারুণ সব আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন, গোলও পেলেন। সঙ্গে আলো ছড়ালেন ফাবিয়ান রুইস। তাদের নৈপুণ্যে মোঁপেলিয়েকে হারিয়ে লিগ ওয়ানে জয়ে ফিরল পিএসজি। প্রতিপক্ষের ডেরায় ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে।
রুইস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর তার বাড়ানো বল ধরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। তাতে আর্জেন্টাইন মহাতারকার সমৃদ্ধ সাফল্যের ঝুলিতে যোগ হলো নতুন অর্জন। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ফুটবলারদের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক বনে গেলেন তিনি। এটি ছিল ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার ৬৯৭তম গোল। ফলে পেছনে পড়ে গেছেন ৬৯৬ গোল করা রোনালদো। পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে তিনি টপকে গেলেন ৮৪ ম্যাচ কম খেলেই।
শেষ দিকে ব্যবধান কমিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে মোঁপেলিয়ে। তবে যোগ করা সময়ে ওয়ারেন জায়ার-এমেরির গোলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। ওয়ারেন যখন লক্ষ্য ভেদ করেন, তখন তার বয়স ১৬ বছর ৩৩০ দিন। এর চেয়ে কম বয়সে আর কেউ পিএসজির হয়ে বল জালে জড়াতে পারেননি। এর আগে পিএসজির হয়ে রেকর্ডটি ছিল বার্থোলোমেও অগবেচের। যিনি ২০০১ সালের নভেম্বরে গোল করেছিলেন ১৭ বছর ৫৫ দিন বয়সে।
রেনের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের পর রাঁসের বিপক্ষে শেষ মুহ‚র্তের গোলে ১-১ ড্র করে পিএসজি। এই দুই ধাক্কা কাটিয়ে পাওয়া জয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষস্থান আরেকটু শক্ত হলো তাদের। ২১ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে মার্সেই। নিসের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরে যাওয়া লঁস নেমে গেছে তিন নম্বরে, তাদের পয়েন্ট ৪৫।
একই রাতে প্রথমার্ধের বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলে বিরতির পর দারুণ খেলল বার্সেলোনা। গোলের দেখাও মিলল একাধিকবার। শেষ দিকে তারা আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসলেও জিততে সমস্যা হলো না। রিয়াল বেতিসকে হারিয়ে লিগ টেবিলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল জাভি হর্নান্দেসের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধে রাফিনিয়া দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান রবের্ত লেভান্দোভস্কি। চলতি মৌসুমে লা লিগার শীর্ষ গোলদাতার গোল সংখ্যা বেড়ে হলো ১৬ ম্যাচে ১৪টি। পরে আত্মঘাতী গোল করেন জুল কুন্দে।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে টানা ১৪ ম্যাচে অপরাজিত রইল বার্সেলোনা। এর মধ্যে সবশেষ ৯ ম্যাচেই জিতল টানা। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেল কাতালান দলটি। ১৯ ম্যাচে ১৬ জয় ও ২ ড্রয়ে তাদের ৫০ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কার্লো আনচেলত্তির দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন