ফুটবল বিশ্বের সকল ট্রফিতে নিজের নাম লিখিয়েছেন রোজারিও থেকে উঠে আসা ৩৫ বছর বয়সী ফুটবলের ‘ক্ষুদে জাদুকর’ লিওনেল মেসি। বাকি ছিল শুধু বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ নেয়ার। কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে নাটকীয় লড়াইয়ে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে সেই স্বপ্নকেও ছুঁয়ে ফেলেছেন ‘এলএমটেন’। হাতে তুলেছেন অধরা সেই সোনালি ট্রফিটা। ফাইনালের তাই পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘোর থেকে বের হতে পারেননি মেসি। বিশ্বকাপ জয়ের পর এবার বড়দিনের আনন্দকে দ্বিগুণ করেছে লা পুলগা’কে। তাই বড়দিন উপলক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনাও করে রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
ফুটবলের ব্যস্ত সূচির বাইরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন লিও। স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও তিন ছেলেকে নিয়ে বেশ সুখেই থাকেন ফুটবলের এই মহাতারকা। বড়দিন উপলক্ষ্যে এবার তাই পরিবার নিয়ে নিজ দেশেই বড়দিন পালন করার চিন্তা করেছেন মেসি। থাকবেন নিজ শহর রোজারিওতেই।
মেসি রোজারিওর নিজ বাড়ির কাছেই কেন্টাকি কান্ট্রি ক্লাবে বড়দিন পালনের আয়োজন করেছেন। এরমধ্যেই বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত বিমানে রোজারিওতে এসেছেন উরুগুয়ের তারকা ফুটবলার লুইস সুয়ারেজ। সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী সোফিয়া বালবি ও তাদের দুই সন্তান। এবারের বড়দিনে মেসির বিশেষ অতিথি সুয়ারেজ। রোজারিওর বাড়িতে সাবেক বার্সা সতীর্থের সঙ্গে বড়দিন পালন করবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
মেসির বড়দিনের আয়োজনে সুয়ারেজ ছাড়াও বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে দেখা যেতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছেন স্পেনের সাবেক মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার সার্জিয়ো আগুয়েরো। তাছাড়াও মেসির পার্টিতে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপজয়ী দলের একাধিক সতীর্থকেও।
মেসি ও সুয়ারেজের পরিবারের মধ্যে বেশ আগে থেকেই ভালো সম্পর্ক। এই দুই তারকা যখন বার্সেলোনায় সতীর্থ ছিলেন, তখন থেকেই এই দুই ফুটবলারের পরিবারের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়। বার্সার হয়ে ছয়টি মৌসুমে একসঙ্গে খেলেছেন মেসি ও সুয়ারেজ। এরপর এই দুই তারকার ক্লাব আলাদা হয়ে গেলেও, বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। চলতি বছর মেসি-আন্তোনেলা ও সুয়ারেজ-সোফিয়ারা ইবিজা দ্বীপে একসঙ্গে ছুটি কাটাতেও গিয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন