প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ সিলেটের জনজীবন। শুক্রবার সিলেটের সাথে এ উপজেলার ৩৬.১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহনীয় গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। দিনভর তাপপ্রবাহ ও রাতে ভ্যাপসা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরম থেকে রক্ষা পায়নি জীব জন্তুও।
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সিলেটের সাথে ওসমানীনগরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৮।
গত ৩ দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, সংক্রামক ব্যাধি ফুসকুড়ি, বয়স্কদের প্রেসারে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। অতিরিক্ত গরমে পানি শূন্যতাও দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে জনসমাগমস্থল। গরমের কারণে নগরীতে রিক্সা, সিএনজি অটোরিক্সার চলাচলও অনেকটা কম দেখা যায়। ফুটপাতের দোকানে শরবত ও জুসের বিকিকিনির ধুম পড়ে। সাথে ডাব বিক্রিরর হিড়িক পড়ে। গরম থেকে রেহাই পায়নি জীব জন্তু। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দেখা
গোয়ালাবাজারের রিক্সা চালক আব্দুল খালিক জানান, প্রচন্ড গরমে রিক্সা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তাই আয় রোজগার কমে গেছে।
তাজপুর ডাব বিক্রেতা সুন্দর আলী বলেন, ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে। যে সাইজের ডাব আগে ৩০/৪০ টাকায় বিক্রি হতো তা ৫০ টাকায় বিক্রি করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন