শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মংলায় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ কম

মনিরুল ইসলাম দুলু | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৯, ৬:৫১ পিএম

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মংলা বন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিকের পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে কোনো লোকজন যাওয়া শুরু করেনি।

বৃহস্পতিবার সকালে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর থেকে বন্দর ও পৌর শহর ছাড়াও গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। মাইকিংয়ের পরও কোনো লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না।

মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) খন্দকার মোঃ রবিউল ইসলাম জানান, এখানকার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে। সেখানে আলো-বাতিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রের দুর্গতদের জন্য শুকনা খাবার, ওষুধ ও সুপেয় পানি মজুদ করা হয়েছে।এমনভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে যাতে ক্ষয়ক্সতির পরিমান অন্যন্যবারের চেয়ে কম হয় ।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর থেকে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমন ও অবস্থানরত ১৫টি জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্দরের ফেয়ারওয়ে, হাড়বাড়িয়া ও পশুর চ্যানেলে অবস্থানরত সব বিদেশি জাহাজসহ দেশি নৌযানগুলোকে নিরাপদে অবস্থান নিতে নির্দেশনা দিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
বন্দর ব্যবহারকারী স্টিভিডরস মেসার্স নুরু এন্ড সন্সের মালিক আলহাজ এইচএম দুলাল জানান, আবহাওয়া ভাল না থাকায় তারা বন্দরে আগত বানিজ্যিক জাহাজে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ রেখেছেন এবং যারা জাহাজে ছিল তাদেরও জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছে ।

কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ ইমতিয়াজ আলম জানিয়েছেন,ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সংস্থাটির ১২টি স্টেশন ২১টি জাহাজ ও ২হাজার সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ।

সুন্দরবন পূর্ব বন কর্মকর্তা মেহেদী মাসুদ জানিয়েছেন ,সুন্দরবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলি নিয়ে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছে বনবিভাগ।
বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার মংলায় এক সভা শেষে জানান, নদীতে যারা এখনও মাছ ধরছে তাদের দ্রুত সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আশ্রয় কেন্দ্র পরিস্কার করে বসবাসের উপযোগি করে রাখা হয়েছে ।তিনি এও বলেন,এখানকার মানুষ ঝড়ের সাথে যুদ্ধ করে বসবাস করে টিকে আসে। সর্বপরি সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করছে ।সব কিছুই ধর্যসহকারে মোকাবিলা করা হবে ।

মংলা বন্দর ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হলেও সকাল থেকে এখানে রৌদ্রকরোজ্জ্বল স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। ফলে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সবাই দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। কারো মধ্যে ঝড়ের ভীতিও তেমন নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন