এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার দুপুর ২ টা থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌ-রুট দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার সব ধরনের নৌযান চলাচল। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় আটকে পরেছে সহস্রাধিক যানবাহন। ভোগান্তিতে পরেছে হাজার হাজার যাত্রী।
সরেজমিনে শনিবার দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত দুই সারিতে আটকে আছে সহ¯্রাধীক ছোট বড় যানবাহন। বেলা বারার সাথে সাথে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা।
এসময় সাতক্ষিরা থেকে ছেরে আসা এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী আলম হোসেন খান জানান, শুক্রবার সকাল আটটা ঘাটে এসে সিরিয়ালে আটকা পরেছি। শনিবার যাচ্ছে চলে তবে এখনও জানিনা কবে নাগাদ ঢাকায় পৌছাবো। ঘাটে সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় গাড়ি থেকে নামাও যাচ্ছে না। খাবারে কষ্ট হচ্ছে, রাতে ঘুমাতে হচ্ছে গারিতে।
এসময় অপর এক যাত্রী সালমা বেগম জানান, এখানে সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে সৌচাগারের পুরুষের বাইবে বাইরে যাচ্ছে কিন্তু মহিলারা কি করবে ? এই দুর্ভোগ দেখার যেন কেউ নেই।
এসপি গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চালক শেখ আহম্মেদ আলী বলেন ভোগান্তির যেন শেষ নেই। যেমন কষ্ট যাত্রীদের তেমন কষ্ট আমাদের।সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আমরা পথে পরে আছি আমাদের প্রত্যেকের পরিবার চিন্তা করছে ঝড়ে কোন বিপদ আপদ হয় কিনা। তাছাড়া দুইদিন ঘাটে আটকা থেকে অনেকের মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সাথে যোগাযোগও করতে পারছে না।
এ সময় ঝিনাইদহ থেকে ছেড়ে আসা ট্রাক চালক হারুন বলেন, আজ ৫ দিন যাবৎ ঘাটে বসে আছি। এখানে সারা বছরই সমস্যায় পরতে হয়। ভাঙ্গন সমস্যা, ফেরি সমস্যা, দালাল চক্রের সমস্যা সব মিলিয়ে একটি অশান্তির রুট এটি। এখন আবার ফণীতে আটকা পরেছি আমরা। এখানে বসে থেকে মালিকের ক্ষতি হচ্ছে। বাড়ি থেকে বিকাশে টাকা এনে বসে বসে খেতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারো হাত নেই। দুই দিন যাবৎ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। এই রুটে বর্তমানে ১৪ টি ফেরি রয়েছে। ঝড় কমে গেলে দুর্ঘটনা আশংকা না থাকলেই ফেরি চলাচল শুরু হবে। সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে আটকে থাকা যানবাহন পারাপার করা হবে। তবে যাদের অত্যন্ত জরুরী ঢাকা যাওয়া প্রয়োজন তারা সিরাজ হতে যেতে পারছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন