বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভোলায় ফণী’র তান্ডবে কয়েক শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত , নিহত ১

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ৫:৪৮ পিএম

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে কয়েক শতাধিক ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় ঘর চাপায় রানু বেগম (৫০) নামের এক নারী নিহত হয়েছে।
শনিবার ভোরের দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানী বেগম ওই এলাকার সামসল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাঁধের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ভারী বর্ষণের সাথে প্রবল বেগে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বালিয়া ও কোড়ালিয়া গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘরচাপা পরে বেড়ী বাধে বসবাসকারী রানু বেগম নামের এক নারী মারা যায়।
অপরদিকে দৌলতখান উপজেলায় কিছু কাচা ঘড় বাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আরিফুর রহমান ফয়সাল ও কালাম জানান, ভোরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে ইউনিয়নের ঢ়াড়ী বাড়ি, পাটওয়ারী বাড়ী, সরদার বাড়ীসহ বেড়ী বাধের প্রায় দেড় শতাধিক ঘর উড়িয়ে নিয়ে যায়।
কোড়ালিয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মমতাজ ও শাহিনা বেগম বলেন, ভোরে ঘূর্ণিঝড় ছাড়ার সাথে সাথে তারা স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। তারা আরও জানায় ঘূর্ণিঝড়ে তাদের ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেলে তারা রাস্তায় আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এসকল পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান অাল্লাহর রহমতে এখানে তেমন একটি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এ পর্যন্ত ৪০ - ৫০ টির মত ঘড়ের ক্ষতি হয়েছে,কিছু গবাদী পশুর খোজ পাওয়া যাচ্ছে না,কিছু গাছ পালার ক্ষতি হয়েছে। অাশ্রয় কেন্দ্রে অাশ্রিতদের শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।
চরফ্যাশন ঊপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল অামিন জানান চর পাতিলা,ঢালচর,কুকরি মুকরি সহ বিভিন্ন চরে কিছু এলাকায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০০ - ২৫০টি কাচা ঘড় বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে, কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ও ঘর বাড়ি বিধ্বস্তের ঘটনা নিয়ে বলেন অামরা প্রত্যেক উপজেলার সঠিক তালিকা হাতে পেলে বলতে পারব ক্ষয় ক্ষতি কি পরিমান হয়েছে । ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের যত দ্রুত সম্ভব নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে এবং আর্থিক সহায়তা করা হবে। এছাড়া নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হবে। অাশ্রয় কেন্দ্রের অাশ্রিতদের শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন