নোয়াখালীতে ঘরচাপায় ইসমাইল হোসেন নামের দুই বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে আহত হয়েছে ২০জন। তিন শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের ক্যারিংচর শান্তিপুর এলাকায় জোয়ারে তিনশত ফুট বেড়ীবাঁধ তলিয়ে গেছে। এতে জোয়ার প্রবেশ করে ওই গ্রামটি প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩-১৫ দিকে ৬০/৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড় শুরু শুরু হয়। নোয়াখালীর সূবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও হাতিয়া উপজেলায় ঝড়ে কয়েক শতাধিক গাছ ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যুৎ খুঁটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। একই সাথে ইন্টারনেট সেবা ব্যহত হয়। দুপুর পৌনে দুইটায় নোয়াখালী জেলা শহরে বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হয়।
ঘূর্ণিঝড় ফনি অত্র অঞ্চল অতিক্রম করার সময় দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল কয়েক লাখ অধিবাসী। মেঘনা বেষ্টিত হাতিয়া উপজেলায় শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারসহ উঁচু ভবনে আশ্রয় নেয়। উল্লেখ্য, স্থানীয় প্রশাসন ও রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থা তৎপর থাকায় ঝড়ের অনেক আগেই লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে।
হাতিয়ার আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ইনকিলাবকে জানান, প্রথম থেকেই হাতিয়া প্রশাসন বেশ তৎপর ছিল। এছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, রেডক্রিসেন্ট ও আওয়ামী লীগের কর্মীসমর্থকরা লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড়ে হাতিয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ বেড়ীবাঁধ পূণনির্মাণ এবং ক্ষতিগ্রস্থদের সর্বাতœক সহযোগীতা প্রদান করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন