নোয়াখালীতে ঝড়ো বাতাসের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। নদীতে ভাটা চলছে। তাই অতিরিক্ত জোয়ারের আপাতত লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। গত রাতে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপসহ কয়েকটি নি¤œাঞ্চল ২/৩ ফুট জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। হাতিয়া উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সন্ধা ছয়টার মধ্যে জনসাধারনকে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার জন্য জোর মাইকিং চলছে। ইতিমধ্যে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের কয়েক শতাধিক অদিবাসী নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফনি আতঙ্কে রয়েছে উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চলের সাত আট লক্ষাধিক অধিবাসী। কারন রাত ১২টায় সমূদ্রের জোয়ার বইবে। তখন ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে বিপূল প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে রাত ১২টা থেকে রাত তিনটা পর্য্যন্ত মেঘনা নদীতে পূর্ণ জোয়ার থাকবে। অর্থাৎ এ সময়টা উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চলের জন্য মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ। আর যদি জোয়ারের পূর্বে ঘূণিঝড় ফনি এ অঞ্চল অতিক্রম করে তাহলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে বলে হাতিয়ার কয়েকজন অধিবাসী জানায়।
হাতিয়া ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন সকল বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। উপজেলা কমপ্লেক্সে স্থাপিত কন্ট্রোল রুপ সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে। মাইকিং ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে জনসাধারনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
হাতিয়া আসনের এমপি আয়েশা ফেরদৌস জানান, স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার অধিবাসী নিরাপদস্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা স্থানীয় লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় গ্রহনসহ সর্বাতœক সহযোগীতা প্রদান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন