শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোশ আমদেদ মাহে রমজান সংখ্যা

মাহে রমজানে প্রতিদিনের আমল ও ওজিফা

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

১. কোরআন শরীফ দেখে দেখে কমপক্ষে ৫/১০ মিনিট তেলাওয়াত করা, (তেলাওয়াতের অর্থ বুঝে পড়ার চেষ্টা করা।) সম্ভব হলে আল কোরআনের জন্য আধাঘন্টা/একঘন্টা সময় দেওয়া। ৫ পৃষ্টা, ১০ পৃষ্টা বা একপারা হিসাবেও তেলাওয়াত করা যায়। এক নজর হলেও কোরআন শরীফ খুলে সামান্য কিছু আয়াত তেলাওয়াত করা জরুরী। চেষ্টা করা জীবনের কোনো একটি দিন বা রাতও যেন কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া না যায়। ২. সুবহানাল্লাহ ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)। ৩. আলহামদুলিল্লাহ ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)। ৪. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)। ৫. আল্লাহু আকবার ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)। ৬. আসতাগফিরুল্লাহ ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)। ৭. দুরুদ শরীফ ১০০ বার (সকালে) ১০০ বার (বিকালে)।

দ্রষ্টব্য: সকাল বিকাল না পারলে কমপক্ষে একবার হলেও ১০০ বার করে পড়া। যে বেলা না পারবে তখন সামান্য করে হলেও পড়বে। সকাল বিকাল যেন জিকির ছাড়া না যায়। যার পক্ষে সম্ভব সংখ্যা বা গণনার দিকে খেয়াল না করে সবসময় জবানে ও অন্তরে এসব জিকির জারী রাখবে। মনোযোগসহ মুখে উচ্চারণ করবে। বেখেয়াল উচ্চারণে তেমন ফল পাওয়া যায় না, একথা মনে রাখবে।
৮. ওকুফে ক্বালবী
ওকুফে ক্বালবীর সাধনা করা। অর্থাৎ নিজের অন্তরের অবস্থা সম্পর্কে সর্বদা জ্ঞাত থাকা। সবসময় মনের গতির ওপর দৃষ্টি রাখা। ক্বলবের হাল সম্পর্কে অবহিত থাকা। সবসময় আল্লাহকে স্মরণে রাখা। কোনো সময় গাফেল বা উদাস না হওয়া। অন্তরে অন্তরে আল্লাহর স্মরণ জারি রাখা। কোনো সময় আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন বা বেখবর না থাকা।
৯. মুরাকাবা
মুরাকাবা অর্থ হলো, আল্লাহর রহমতের অপেক্ষা করা। আল্লাহর রহমতকে উপলব্ধি করা। ধ্যান খেয়াল করা যে, আল্লাহর রহমত আসছে, আমার অন্তরে প্রবেশ করছে, গোনাহের কালিমা মুছে যাচ্ছে, অন্তরের জং পরিস্কার হচ্ছে, অন্তর আল্লাহর রহমত ও মহব্বতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, ক্বলব থেকে আল্লাহর প্রতি পরম মহব্বত, টান ও ভাবের সাথে উচ্চারিত হচ্ছে। আল্লাহ.. আল্লাহ...আল্লাহ....। মুখে উচ্চারণ না করে হৃদয়ের কান লাগিয়ে অন্তরের গোপন জিকির আল্লাহ.. আল্লাহ...আল্লাহ.... শুনতে থাকা।
যারা পারেন তারা নিচের জিকিরগুলোও করবেন
১০. লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ... ১০০ বার
১১. হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল... ১০০ বার
১২. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি... ১০০ বার
১৩. সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম যতবার পারা যায়।
১৪. আল্লাহর আসমায়ে হুসনার মধ্য থেকে যখন যেটি ভালো লাগে যতবার পারা যায় মহব্বতের সাথে পড়া।

২০টি স্পেশাল আমল
১. শাবানের শেষ দিনে রমজানের চাঁদ দেখা। ২. দিনে রোজা রাখা। ৩. রাতে তারাবীর নামাজ পড়া। ৪. শেষ সময়ে সাহরী খাওয়া। ৫. বিলম্ব না করে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। ৬. ইফতারের আগে ও দিনভর দোয়া করা। ৭. কথা ও কাজে মিথ্যাচার এবং মূর্খতা বর্জন করা। ৮. বিবাদ বিতন্ডা এড়িয়ে চলা। ৯. রোজাদারকে সাধ্যমত ইফতার করানো। ১০. কোরআন তেলাওয়াত, মর্মচর্চা ও শিক্ষা করা। ১১. অধিকহারে দান-সাদকা করা। ১২. মেসওয়াক করা। ১৩. সামর্থ্য থাকলে উমরা করা। ১৪. শেষ দশকে ইবাদতের অতিরিক্ত পরিশ্রম করা। ১৫. শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ করা। ১৬. শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহে শবে কদর প্রাপ্তির জন্য ইবাদত করা। ১৭. সদকাতুল ফিতর আদায় করা। ১৮. ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া করা। ১৯. সাধারণ নেক আমল অধিক হারে সুন্দরভাবে সম্পাদন করা। ২০. পাপাচার বা তাকওয়ার অনুশীলন করা।

মাওলানা শায়েখ উবায়দুর রহমান খান নদভী নাকশবন্দী মুজাদ্দিদী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন