সউদী আরবের জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর শ্রম-এর চরম উদাসিনতা ও গাফলতির দরুণ শত শত প্রবাসী কর্মীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত পাঁচ মাস যাবত জেদ্দাস্থ দুটি মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে টাঙ্গাইলের মৃত শরীফ ও একই জেলার মৃত কর্মী মো. উজ্জলের লাশ পড়ে রয়েছে। উক্ত দু’টি লাশ দ্রæত দেশে পাঠানোর জন্য আতœীয়-স্বজনের পক্ষে মো. খোকা মিয়া ও মফিজ জেদ্দা কনস্যুলেটের কাউন্সেলর শ্রম আমিনুল ইসলামের সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও কোন সহায়তা পায়নি। মৃত প্রবাসী কর্মীদের লাশ দেশে এনে দাফনের জন্য আতœীয়-স্বজনরা অধীর আগ্রহে প্রহর গুণছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ-সচিব মো. জহিরুল ইসলাম গত ৫ মে পৃথক পৃথক চিঠিতে কাউন্সেলর শ্রম আমিনুল ইসলামকে উল্লেখিত মৃত কর্মীদের লাশ দ্রæত দেশে প্রেরণের জন্য তাগিদ দেন। কিন্ত বির্তকিত কাউন্সেলর শ্রম এ ব্যাপারে অদ্যবধি কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে মৃত কর্মীর স্বজনরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দফায় দফায় দ্বারস্থ হয়েও লাশ পাওয়ার কোনো আশাই দেখছেন না। তারা লাশ পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে চোখের পানি ফেলছেন।
ভুক্তভোগী কর্মীদের মতে, কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে জেদ্দা কনস্যুলেটে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাঁড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহকে অবহিত করা হলে তিনি গত ডিসেম্বর মাসে এক জরুরী বার্তায় প্রবাসী সচিব রৌনক জাহান ও পররাষ্ট্র সচিবকে বির্তকিত কনস্যুলেটের কাউন্সেলর শ্রম আমিনুল ইসলামকে দ্রæত প্রত্যাহার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, কাউন্সেলর শ্রম আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২ লক্ষাধিক টাকার তহবিল তছরুপের অভিযোগ প্রমাণীত হলেও তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন