নিজের ও মায়ের মুখের আহার সংগ্রহে সারাদিন অন্যের দোকানে কাজ করেও এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বরিশালের গৌরনদীর হতদরিদ্র ও অদম্য মেধাবী ছাত্র মো. বুলবুল হোসেন। চরম দরিদ্রতার সাথে লড়াই করা ছেলেটির অভাবনীয় সাফল্যে উচ্ছসিত তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ চাকরিদাতা মোবাইল ফোন দোকানের মালিক, সহপাঠী ও প্রতিবেশীরাও। বুলবুল ভবিষ্যতে একজন ডাক্তার হয়ে এলাকাবাসিকে চিকিৎসা সেবা দেয়ার স্বপ্ন দেখছে। তবে হতদরিদ্র পরিবারের অক্ষম মা-বাবার সন্তান বুলবুলের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে স্থানীয়দের মনে রয়েছে নানা শঙ্কা।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বড় দুলালী গ্রামের রিকশা ভ্যান চালক সাবেক ইউপি সদস্য হতদরিদ্র মো. খলিলুর রহমান সরদারের সন্তান অদম্য মেধাবী ছাত্র মো. বুলবুল হোসেন। তার মা আলেয়া বেগম উপজেলা সদরে একটি লেডিস টেইলার্স চালাতেন। বুলবুল উপজেলা সদরের সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবারের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বুলবুল জানায়, তার বাবা খলিলুর রহমান সরদার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় আর কোন ভারি কাজ করতে পারেন না। ফলে এখন সে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগীদের সিরিয়াল লিখে সামান্য কিছু রোজগার করতেন। তা দিয়ে সংসার চালাতে পারতেন না। মা আলেয়া বেগমও ডায়াবেটিস, বøাড প্রেসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
সরকারি গৌরনদী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে ১Ñ২ ঘন্টা তাকে বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়াতেন। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন