গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে বগুড়া জিলা স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য পালকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ তিন সপ্তাহের মাথায় জানিয়েছে অনিন্দ্য ফেল নয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে ফেল দেখিয়ে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রসহ তার পরিবারকে মানসিক যন্ত্রণা দেওয়ার দায়ভার কার?
প্রকাশিত ফলাফলের মার্কশিটে জীববিজ্ঞান বিষয়ে বিষয়ে তাকে অনিন্দ্যকে অনুত্তীর্ণ দেখানো হয়। এরফলে ঐতিহ্যবাহী বগুড়া জিলা স্কুলে শতভাগ পাশের রেকর্ডে বড় ধাক্কা লাগে। শিক্ষার্থীদের মাঝে নেমে আসে হতাশা। অনিন্দ্য বার বার বলছিল, সে প্রশ্নের উত্তর খাতায় যেভাবে লিখেছে তাতে ফেল করার প্রশ্নই উঠে না। এই বিষয়ে নম্বর ৯০ এর বেশি পাওয়ার কথা। সে তার এমন ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে।
গত সোমবার রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ খাতা পুনর্মূল্যায়ন করে জানায়, অনিন্দ্য জীববিজ্ঞান বিষয়ে প্রকৃত পক্ষে ৯৩ নম্বর পেয়েছে। এতে করে সে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই খুশির খবর সাংবাদিকদের জানান, বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামাপদ মুস্তাফী।
তিনি অনিন্দ্য পালকে ডেকে স্কুলে এনে তাকে মিষ্টিমুখও করান। এমন খুশির খবরে কান্না চেপে রাখতে না পেরে অনিন্দ্য জানায়, তার খারাপ ফলাফলে পিতা রঘুনাথ পাল দুশ্চিন্তায় কাতর হয়ে পড়েন। কর্মস্থল গাবতলী শিক্ষা অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন