শারীরিক প্রতিবন্ধী মুক্তামণি (১২) পা দিয়ে লিখে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফল প্রকাশের পর সকলে খুশি মুক্তাকে নিয়ে। বরিশালের হিজলা উপজেলার পত্তনীভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুক্তামনি এই বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ নাছিমা খানম উচ্ছ¡সিত কণ্ঠে বলেন, স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। মুক্তামনি পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমরা আশাকরি সামনের দিনগুলো তার আরো ভালোভাবে কাটবে এবং ভবিষ্যত উজ্জল হবে।
বরিশালের হিজলা উপজেলার পূর্ব পত্তনীভাঙ্গা গ্রামের সেন্টু সরদার ও ঝুমুর বেগম দম্পতির সন্তান মুক্তা। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় ছিল মুক্তা। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে তার দু’হাত পুড়ে যায়। পরে চিকিৎসকরা তার দু’হাতের কনুইয়ের ওপর থেকে কেটে ফেলে। ডান পায়ের বুড়ো আঙুলের সঙ্গে কলম আটকে স্বাভাবিক গতিতে লিখতে পারে সে। তার লেখা অন্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে সুন্দর বলে জানান প্রধান শিক্ষক।
মুক্তার মা ঝুমুর বেগম ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। মুক্তার ছোট একটি বোন আছে। বাবা সেন্টু সরদার তেমন একটা খোঁজ খবর নেন না বলে জানান মুক্তামনির মা ঝুমুর বেগম। তিনি জানান, গার্মেন্টসে চাকরির সামান্য আয়ে দুই মেয়েকে পড়াশোনা করাতে কষ্ট হচ্ছে তার। তারপরও মেয়েদের আগ্রহের কারণে পড়াশোনা চালিয়ে নিচ্ছেন। দুই মেয়েকে যাতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন এ জন্য সরকারি সহায়তা চান প্রতিবন্ধী মুক্তার মা। মুক্তামনি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হবার কথা জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন