লিচুর ফলনে এবার ঈশ্বরদীকে ছাড়িয়ে গেছে চাটমোহর উপজেলা । জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুরে আজ থেকে ১৫ বছর আগে বোম্বাই জাতের লিচু চারা রোপন করা হয়। আস্তে আস্তে তা উপজেলার মুলাডুলি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিখ্যাত হয়ে উঠে ঈশ্বরদীর লিচু । বহু বছর আগে বাবু বাগান বাঁশেরবাদা (ঈশ্বরদী এলাকাধীন) এলাকায় পাবনার বিলু বাবু নামে এক ভদ্রজন লিচুর বাগান গড়ে তোলেন। এই বাগনটি বাবু’র বাগান নামে পরিচিত। তিনি এখন আর বেঁচে নেই। কিছু দিন আগে তাঁর স্ত্রী জমিদার পরিবারে কন্যাও চলে গেছেন। কিন্তু বিলু বাবুর আম-লিচুর বাগান বাগান এখনও আছে। পাবনার ঈশ্বরদীর ছলিমপুরে তখনও বাণিজ্যিকভাবে লিচু আবাদ শুরু হয়নি তাঁর আগেই বিলু বাবু লিচু –আমের বাগান গড়ে তোলেন। বিলু বাবুর বাগানে সুস্বাদু আর মিষ্টি-টক লিচু আবাদ হয়। এই লিচু ঈশ্বরদীর ছলিমপুরের লিচুর আগেই পাবনার বাজারে আসে। এখন পাবনার বাজারে বিলু বাবুর বাগানের লিচু ২ শত টাকা শত দরে বিক্রি হচ্ছে। ছলিমপুর, মুলাডুলি, রাজশাহী এবং দিনাজপুরের লিচু সম্ভবত: রোজার পরে বাজারে উঠবে। এবার ঈশ্বরদীর লিচুর ফলনকে টেক্কা দিয়ে জেলার চাটমোহর উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। শহরের বাজারে এই লিচু এখনও আসেনি, তবে উপজেলা বাজারে, চলন বিল এলাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাটমোহরের লিচু বাগান নামে পরিচিত রামচন্দ্রপুর , নতুনপাড়া, মন্ডলপাড়া, জালেশ্বর, গুনাইগাছা সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। গত বছর ঝড়ে এই অঞ্চলের লিচু আবাদীদের বাগান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবার ততটা হয়নি। জেলা দর এলাকা ছাড়াও রাজধানীর বাজারে এবার পাবনার ঈশ্বরদী, চাটমোহর উপজেলা এবং জেলার অন্যান্য উপজেলা থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির চাকা ফলজ আরও সবল করে তুলছে। পাবনা জেলার ঈশ্বরদী ও চাটমোহর, সুজানগরে কে কবে ভালো জাতের লিচুর আবাদ করেছেন তা জানা যায়নি। তবে বাঁশেরবাদায় বিলু বাবু লিচুর বাগান প্রথম গড়ে তোলেন এই সত্যটি প্রতিষ্ঠিত। মরহুম বিলু বাবু’র বাড়ী শহরে। তিনি শুধু বাগান প্রিয় ব্যক্তিই ছিলেন না, ছিলেন না পাখি শিকারেও দক্ষ ছিলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক আজহার আলী জানান, আগামী বছর লিচু চাষীদের ফলন আরও বাড়াতে এবং পোকা-মাকড়ের হাত থেকে লিচুকে রক্ষা করতে তাদের পরামর্শ অব্যাহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন