জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও অন্যের জমি দখলের অভিযোগে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কামাল হোসেনকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে সরিষাবাড়ী থানার এসআই ঈমান আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মাজালিয়া গ্রামের নিজবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতারের পর দুপুরে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরআগে মাজালিয়া গ্রামের জনু শেখের ছেলে শাকিলা জামান চান বাদি হয়ে কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে জমি দখল, পাঁচ লাখ টাকা লুট, বনায়ন, কলাবাগান ও সবজি ক্ষেত বিনষ্টের অভিযোগে মামলা করেন।
মামলা ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ১৯৫৩ সালে উপজেলার হাসড়া মাজালিয়া মৌজার ৬১ শতক জমি মাজালিয়া (বিলপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের কাছ থেকে সাফ কওলা নিয়ে একই গ্রামের মনির উদ্দিনের ছেলে মৃত মোজাফফর ও মৃত জনু শেখের পরিবার ভোগ করে আসছে। তারা ওই জমিতে বসতবাড়ি, পুকুর, কবরস্থান, ফলজ বৃক্ষের বাগান ও বনায়ন গড়ে তোলেন। সম্প্রতি মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আয়নাল হক ও নাতি মজনু মিয়া ওই জমি তাদের বাপ-দাদার দাবি করে কৌশলে বেদখলের চেষ্টা করছেন বলে ভূক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন। এতে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করলে কয়েকদিন আগে সালিশ বসে। গ্রাম্য মাতব্বরা জমিটি মৃত মোজাফফর ও মৃত জনু শেখের পরিবারের বলে সিদ্ধান্ত দেন।
এদিকে ওই সিদ্ধান্ত অমান্য করে শনিবার বিকেলে মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আয়নাল হক ও নাতি মজনু মিয়া জমির প্রকৃত মালিকদের ভয়ভীতি দেখাতে ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কামাল হোসেনকে ভাড়ায় ডেকে নেন। কামাল হোসেন, তার ভাই ও সহযোগীরা গিয়ে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে ৬১ শতক জমি বেদখল ও পাশের বাড়ির গরু ব্যবসায়ী তোষর আলীর বসতঘরে ঢুকে গরু বিক্রির প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তারা প্রায় অর্ধ শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ, শতাধিক কলাগাছ ও সবজি বাগান বিনষ্ট করে। পরিবারের লোকজন এতে বাধা দিতে গেলে হামলাকারীদের মারপিটে অন্তত ২০ জন আহত হয়। পরে জনু শেখের ছেলে শাকিলা জামান চান বাদি হয়ে রবিবার সকালে ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘হামলায় ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার ও অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন