ইন্দুরকানীতে নিয়ম না মেনে উপবৃত্তির টাকা দেয়ার নামে ফরম পূরণের কথা বলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপবৃত্তির টাকা দেয়ার জন্য বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে নিয়েছে। অথচ উপবৃত্তির ফরম পূরণে কোন প্রকার টাকা নেয়ার বিধান নেই। উপজেলার এফ করিম আলিম মাদরাসা, বালিপাড়া চান সিরাজিয়া মহিলা আলিম মাদরাসা ও বালিপড়া ইউনিয়ন আলিম মাদরাসায় উপবৃত্তির ফরম পূরণের নাম করে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে ২শ’ থেকে ৫শ’ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বিকাশ একাউন্ট চালু করতে হলে অনুমোদিত বিকাশ এজেন্টের কাছে গিয়ে একাউন্ট খুলতে হয়। বিকাশ একাউন্ট চালু করতে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকাশ একাউন্ট খোলার অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
ইন্দুরকানী এফ করিম আলিম মাদরাসার শিক্ষার্থী নাদিরা আক্তার (৮ম), সালমান (৮ম), মিম (৮ম) সুমি আক্তার (৯ম), জানান. তার কাছ থেকে উপবৃত্তির টাকা মোবাইলের সিমে দেওয়ার জন্য বিকাশ এ্যাকাউন্ট খোলার কথা বলে ২শ’ টাকা নিয়েছে।
একই মাদ্রাসার অপর এক ৮ম শ্রেণির ছাত্রী নাদিরা আক্তার জানান, টাকা না দিলে উপবৃত্তির টাকা পাওয়া যাবে না বলে। মাদরাসা থেকে জানানো হয়েছে।
বালিপাড়া ইউনিয়ন আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রিফাত (৭ম), ফাতিমা (৯ম) ও জেসমিন (১০) জানান, উপবৃত্তির টাকা দেয়ার কথা বলে ৫০০ টাকা করে নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন অভিভাবক বলেন, আমরা দরিদ্র মানুষ। সরকার আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার জন্য উপবৃত্তি দেন। কিন্তু সেই উপবৃত্তির টাকা পেতেও ঘুষ দেয়া লাগে।
ইন্দুরকানী এফ করিম আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম জানান, আমি অনেক দিন ধরে মাদরাসায় যাই না। বিকাশ একাউন্ট খোলার কথা বলে কে বা কারা টাকা নিচ্ছে আমি জানি না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একে এম আবুল খায়ের জানান, উপবৃত্তির টাকা দেয়ার জন্য ফরম পূরণে কোন টাকা লাগে না। কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান উপবৃত্তির নাম করে নিয়ম বর্হিরভূত ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন