বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনার মার্কিন প্রস্তাব ভিত্তিহীন : মিয়ানমার

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ১০:৫৮ এএম

রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ব্রাডলি শারম্যানের প্রস্তাবকে একটি উন্মত্ত ধারণার (ক্রেজি আইডিয়া) ওপর ভিত্তিক করে, ভিত্তিহীন প্রস্তাব বলে মন্তব্য করেছে মিয়ানমার। বলা হয়েছে, এমন প্রস্তাব ভৌগলিক অখন্ডতা ও একটি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মান দেখানো। মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন সূত্র ভারতের অনলাইন ইকোনমিক টাইমসকে এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়ে ওই পত্রিকায় সাংবাদিক দীপাঞ্জন রয় চৌধুরী একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। এর শিরোনাম ‘ইউএস কংগ্রেসম্যান প্রোপোজাল ফর রাখাইন স্টেট আন্ডার বাংলাদেশ বেজলেস: মিয়ানমার। অর্থাৎ রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অধীনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবকে ভিত্তিহীন বলেছে মিয়ানমার। এতে তিনি আরো লিখেছেন, এমন প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প পদক্ষেপ নিলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান ভারতের। একই সঙ্গে ভারত কোনো দেশের সার্বভৌমত্বকে করা লঙ্ঘন সমর্থন করে না।

দীপাঞ্জন রয় চৌধুরী লিখেছেন, সম্প্রতি নৃশংসতার শিকার হয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে এসে এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অবস্থার কারণে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অধীনে আনার জন্য সম্প্রতি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বাজেটের শুনানিতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে ১৩ই জুন। কংগ্রেসে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় সাব কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেমম্যান ব্রাডলি শারম্যান তার প্রস্তাাব তুলে ধরেন। তিনি রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনার প্রস্তাব বিবেচনা করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। এক্ষেত্রে তিনি উদাহরণ হিসেবে সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন করে দক্ষিণ সুদানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রশ্ন রাখেন তাহলে কেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার সুরক্ষায় একই রকম পদক্ষেপ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র? তিনি এক্ষেত্রে পরামর্শ দেন, যদি রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব মিয়ানমার না নেয়, তাহলে রাখাইনকে বাংলাদেশের অধীনে আনা যৌক্তিক। নিষ্পেষিত মানুষের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Pradip Kumar Deb ৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৭ পিএম says : 0
Good idea
Total Reply(0)
মোঃ ফেরদৌস হাওলাদার ৪ জুলাই, ২০১৯, ১:৪১ পিএম says : 0
রাখাইন রাজ্যকে বাংলাদেশের অধীনে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাবকে আমি সাগাতম জানাই
Total Reply(0)
Muhammad Zahir Rayhan ৪ জুলাই, ২০১৯, ৫:১০ পিএম says : 0
খুভই একটা বালো প্রস্তাব যদি মায়ানমান মুসলিমদের বালো না লাগে তা হলে তাদের আলাদা দেশ হিসেবে রাখাইনরাজ্য বাংলাদেশের সাথে সংযুক্ত করে দিক তা হলে যামেলা মিটে গেল তারা বৌদ্দ জনগুষ্ঠী আলাদা দেশে থাকুক আর আমরা বাংলায় মুসলিমদের পাশে হিন্দু,বৌদ্দ, খৃষ্টান, সকলধর্মের মানুষ বসবাস করছে কই মুসলিমরা তো তাদের কোন মৌলিক অধিকারের ক্ষতি করছেনা তাই বলছি জাতিসংঘ যে উদ্দোগ নিয়েছে যথার্থই নিয়েছে আমি মনে করি। কারণ ১১লক্ষ মায়ানমারের মুসলিমরা এই বাংলার ভ‚খন্ডে আছে তারা এ ভাবে কতদিন থাকবে আপনারা তাদের সাথে থাকতে না চাইলে রাখাইনরাজ্য তাদের ভ‚খন্ড তাদের ফেরৎ দিন এটাই তাদের মৌলিক অধিকা।
Total Reply(0)
Muhammad Zahir Rayhan ৪ জুলাই, ২০১৯, ৫:১০ পিএম says : 0
If a fanatical proposal is not appealing to the Muslims, then if the people of Bangladesh are connected with the Rakhain state as a separate country, then the people of Boudd should stay in a separate country, and we live in the Hindu, Buddhist, Christian and Muslim communities of Bengal, where Muslims live So they are not harming any fundamental rights, so I say that the United Nations has taken the right initiative I think. Because 11 lakhs Muslims of Myanmar are in Bhankhand of this country. How long do they remain in this way? If you do not want to stay with them then the Rakhain State will return them to their home. This is their basic plan.
Total Reply(0)
ash ৪ জুলাই, ২০১৯, ৯:২৬ পিএম says : 0
RAKHAIN SHOULD BE A INDEPENDENT COUNTRY !! NOT WITH BANGLADESH OR BURMA !! BECAUSE ITS TOO RISK WITH BANGLADESH
Total Reply(0)
kuli ৭ জুলাই, ২০১৯, ২:৫০ পিএম says : 0
Good idea.It should be implemented.
Total Reply(0)
Md. Hidayat ullah ১১ জুলাই, ২০১৯, ৮:৪২ পিএম says : 0
শান্তিপুর্ন ভাবে শরনার্থী সমস্যার সমাধান খুবই কঠিন কাজ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন