সহিংসতায় জর্জরিত মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। মিয়ানমারে নিযুক্ত সংস্থাটির বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি বলেন, স¤প্রতি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের মারাত্মক প্রভাব পড়েছে বেসামরিকদের ওপর। সহিংসতা ও সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের শিকার হয়ে অন্তত ৩৫ হাজার বাসিন্দা ওই এলাকা ছেড়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদকে ইয়াংঘি লি বলেন, মিয়ানমার ও আরাকান আর্মি দুই পক্ষই আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শিন প্রদেশে বিগত কয়েকমাস ধরে চলা সহিংসতায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছ বেসামরিকরা। সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মি অনেক আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছেন এবং হয়তো কিছু যুদ্ধাপরাধও করেছন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে তাদের দ্বারা। স¤প্রতি রাখাইনে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার তথ্যানুযায়ী, গত নভেম্বর থেকে দু’পক্ষের লড়াইয়ের কারণে রাখাইনের মধ্য ও উত্তরাঞ্চল এবং প্রতিবেশী চিন রাজ্যের হাজার হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ২২ জুন শনিবার মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় অপারেটর টেলিনর গ্রুপের বিবৃতির সূত্রে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ সংঘাত কবলিত রাখাইনে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়ার পর তা কার্যকর করেছে টেলিকম কোম্পানিগুলো। লি বলেন, ১২জন নির্মাণশ্রমিকসহ বেশ কয়েকজন বেসামরিককে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। অন্যদিকে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আরাকান আর্মি সদস্য সন্দেহে বেসামরিকদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসবাদা করছে। কখনও বেসামরিকরা গুমও হয়ে যাচ্ছেন। গত এপ্রিলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী হেলিকপ্টার দিয়ে ছয়জন বেসামরিকদের গুলি করে হত্যা করে। আহত হয় ১৩ জন। লি জানান, হতাহতদের সকলেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর যারা যুগ যুগ ধরে রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছেন। রয়টার্স. ইরাবতি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন