মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ‘শুদ্ধি অভিযানের’ পরিকল্পনা করেছে, স্থানীয় প্রশাসন কয়েক ডজন গ্রাম প্রধানকে এমন সতর্ক বার্তা দেয়ার পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের হাজার হাজার গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির একজন আইপ্রণেতা ও একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী।
দেশটির রাথেডং শহরের প্রশাসক অং মিন্ট থেইনের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, কায়ুকতান গ্রাম ও এর আশপাশের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এরকম অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে। রাখাইনের সীমান্ত নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রী মিন থান জানান, অন্তত সপ্তাহখানেক চলবে এই অভিযান।
এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ জানিয়েছে, মিয়ানমারের ব্রিটিশ, মার্কিন ও কানাডার দূতাবাস। মানবাধিকার সংগঠন বলছে, পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া গ্রামবাসীরা, মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
প্রশাসন থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “বাহিনীগুলো ওই গ্রামগুলোতে শুদ্ধি অভিযান চালাবে। অভিযান চলাকালে আরাকান আর্মির সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যদি লড়াই শুরু হয় তাহলে গ্রামে না থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে থাকবেন।”
মানবাধিকার গোষ্ঠী রাখাইন এথনিক কংগ্রেসের সম্পাদক জ জ হতুন জানিয়েছেন, অন্তত এক হাজার ৭০০ লোক পার্শ্ববর্তী পন্নাগিয়ুন পৌরসভায় পালিয়ে গেছে।
আরও এক হাজার ৪০০ লোক আশপাশের গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে আর তারা তীব্র খাদ্য সঙ্কটে আছে বলে রাথেডাং পৌরসভা থেকে জানিয়েছেন পার্লামেন্টের স্থানীয় প্রতিনিধি ওও থান নায়িং।
বুধবার ওই আদেশ জারির পর থেকে কায়ুকতান ও এর আশপাশের ৩৯টি গ্রামের বাসিন্দারা পালিয়ে যাওয়া শুরু করেছে বলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার গোষ্ঠী বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে।
কায়ুকতান এলাকায় রোহিঙ্গা, রাখাইনসহ প্রায় লাখ খানেক লোক বাস করে বলে জানিয়েছে রাখাইন এথনিক কংগ্রেস।
মিয়ানমারে অবস্থিত যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দূতাবাস শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে ফের মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালানোর পরিকল্পনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন