রাখাইনে আটক এক যুবক সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় নির্যাতনে মারা গেছেন। নির্যাতনের ফলে তিনি রক্তবমি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার মা। কিন্তু সেনাবাহিনী এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেনাবাহিনীতে নির্যাতন চালানো নিষিদ্ধ। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে আরাকান সালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার জবাবে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালায়। এতে বন্যার পানির মতো রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। সেই রাখাইনেই কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে আরেকটি বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। এই গ্রুপটি রাখাইনে জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধদের জন্য অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। সা¤প্রতিক সময়ে তাদের ওপর দমনপীড়ন চালাতে রাখাইনে কয়েক হাজার সেনাসদস্যকে মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। গ্রামগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের ঘেরাও করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে আরাকান আর্মি ও তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের মুছে দেয়ার। এরই অংশ হিসেবে মরাউক ইউ টাউন এলাকা থেকে ১৯ জুন তারা আটক করে জাও উইন হ্লাইংকে (২৮)। তার মা থেইন নু সেইন বলেছেন, এর পাঁচদিন পরে তাকে পাঠানো হয় স্থানীয় একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে তার ছেলেকে রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েতে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হতেই থাকে। অবশেষে সোমবার মারা গেছেন তিনি। বুধবার কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা থেইন নু সেইন। তিনি বলেন, আটক অবস্থায় নির্যাতনে তার রক্তবমি হচ্ছিল। তার ভাষায়, আমার ছেলে আমাকে বলেছে তাকে প্রহার করেছে তারা। লুঙ্গির ভিতর পাথর বেঁধে তা দিয়ে তার পিঠে আঘাত করেছে। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন