ঢাকার কেরানীগঞ্জের শাক্তা ইউনিয়নের আরশিনগর এলাকায় একটি মাদ্রাসা থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবকের নাম মোঃ মনির হোসেন(২৬)। আজ বুধবার(৩১জুলাই) দুপুর ১টায় পুলিশ ওই মাদ্রাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙ্গে নিহত যুবকের ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। নিহত যুবকের বাবার নাম মোঃ নাজিম উদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মিনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার বাঁশহাটি গ্রামে। তারা আরশিনগর এলাকায় ওই মাদ্রাসার পিছনে একটি বাড়িতে ভাড়া থকে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোঃ জালাল উদ্দীন জানান, দুপুরে আমরা লোক মারফত খবর পাইযে শাক্তা ইউনিয়নের আরশিনগর এলাকায় তাহসিনুল মাদ্রাসার একটি কক্ষে এক যুবক ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এই খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে যাই এবং মাদ্রাসার ওই কক্ষের দরজা ভেঙ্গে যুবকটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য স্যার সল্লিাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করি।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, গত মঙ্গলবার (৩০জুলাই) গভীর রাতে ওই যুবক মাদ্রাসায় চুরি করতে ঢুকে। এসময় মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র ও শিক্ষকরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং তাকে কিছু মারধর করে। রাত গভীর হওয়ায় পরের দিন সকালে যুবকটিকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করার জন্য তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে মাদ্রাসার ৩/৪জন ছাত্রের সাথে আটকিয়ে রাখা হয়। সকালে ছাত্ররা ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে গেলে ওই যুবকটি কক্ষের দরজাটি বন্ধ করে ওই কক্ষের একটি ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কখন যে সে আত্ব হত্যা করেছে। তারা কিছুই জানে না। পরে ওই কক্ষের আবাসিক ছাত্ররা কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় তারা জানালা দিয়ে ভিতরে দেখে যে ওই যুবকটি ফ্যানের সাথে গলায় পাঁস লাগিয়ে আত্বহত্যা করেছে। পরে বিষয়টি আমরা কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে জানাই।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন,যুবকটি মনে হয় রাতে ওই মাদ্রাসায় গেলে তাকে চোর সন্দেহে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাকে মারধর করে আটকিয়ে রাখে। সে একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় লজ্জায় ও অপমানে হয়তো ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করতে পারে। আমরা এই ঘটনায় আরো তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনাটি বের করার চেষ্টা করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন