ঢাকার কেরানীগঞ্জে মসজিদের সামনে চলাচলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে সেখানে আ.লীগ নেতার জোরপূর্বক টয়লেট নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্মাণ কাজে বাঁধা দেয়ায় মসজিদ কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন (৭৫) ও মো. আসলাম (৬০) নামে দু’জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ওই নেতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকাল ১১টায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া বাইতুল নাজাত জামে মসজিদের সামনে।
শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া বাইতুল নাজাত জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি হাজী ফরিদ আহমেদ জানান, তাদের মসজিদটি শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া এলাকার একমাত্র মসজিদ। সামনের এ রাস্তা দিয়েই মুসল্লিদের প্রতিদিন মসজিদে যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া এলাকার শতশত মানুষকেও চলাফেরা করতে হয়। কিন্তু সকালে শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আ.লীগ নেতা হুমায়ন কবীর তার দলবল নিয়ে স্কুলের নামে মসজিদের সামনে চলাচলের রাস্তার ওপর জোরপূর্বক টয়লেট নির্মাণ করতে যায়। এসময় এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা তাদের বাঁধা দিলে আ.লীগ নেতা হুমায়ন কবীর পিস্তল উচিয়ে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে সে দলবল নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্য ও সাবেক আনসার কমান্ডার আমজাদ হোসেন ও আসলাম নামে দুজনকে পিটিয়ে আহত করে।
শুভাঢ্যা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা মো. ইকরাম হোসেন জানান, মসজিদের সামনের রাস্তায় টয়লেট নির্মাণে বাঁধা দেয়ায় হুমায়ন কবীর তাদের মহল্লা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। স্থানীয় গৃহিনী সামসুন্নাহর বলেন, আমার বাপ-দাদারাই স্কুলের জমি দান করেছিলেন। চলাচলের রাস্তায় টয়লেট নির্মাণ করা হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে আ.লীগ নেতা হুমায়ন কবীরের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনায় সকল স্কুল বন্ধ থাকায় এ মুহূর্তে টয়লেট নির্মাণের কাজ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন, খবর পেয়েই টয়লেট নির্মাণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে প্রকৌশলীর মাধ্যমে সরেজমিনে পরিদর্শন করে টয়লেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন