ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাসনাবাদ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাজী নুর হোসেন ব্যাপারী ঘাটটি বন্ধের পর রহস্যজনকভাবে আবার চালু হওয়ায় বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুর পিলার এখন হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবৈধ ঘাটটি বন্ধ না করা হলে যেকোনো সময় সেতুর পিলারে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে।
বিআইডবিøউটি’র নদীর পাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযানের সময় এ ঘাটটি সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করা হয়।
উচ্ছেদের পরপরই ঘাটটি পুনরায় চালু হওয়ায় বিআইডব্লিউটি’র কার্যক্রম নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নাম না বলার শর্তে একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটি’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে একটি স্বার্থান্বেষী মহল এই ঘাটটি অবৈধভাবে চালু করে প্রতিদিন তারা এ ঘাট থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
সরেজমিন প্রতিবেদনে জানা যায়, ঢাকা জুটমিল থেকে শুরু করে হাসনাবাদ জামে মসজিদ পর্যন্ত সব জায়গার মালিক হচ্ছে হাসনাবাদের ব্যবসায়ী আলহাজ সিরাজুল ইসলাম ডিপটি গং। তাদের জায়গার উপরেই গড়ে উঠেছে ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর, সিপটিং, সিলেকশন বালুসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর জমজমাট ব্যবসা। এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের মালিকানা জায়গার উপর ঘাটটি গড়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী হাজী শাহ আলম, পিয়ার মোহাম্মদসহ ১০/১২ জন সরকারি আদেশ অমান্য করেই ঘাটটি আবার চালু করেছেন। তারা রাতের আধারে এই ঘাট দিয়ে বিভিন্ন জাহাজ, ও ট্রলার থেকে বালু, পাথর, ইট, সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী খালাস করে দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এতে যেকোনো সময় সেতুর পিলারে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হতে পারে। এই জায়গার মালিক সিরাজুল ইসলাম ডিপটি গং বারবার তাদের বাধা দিলেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে বিআইডব্লিউটি’র উচ্ছেদ অভিযানের সময় ঘাটটি উচ্ছেদ করা হয় এবং ঘাটে রাখা ২২ লাখ টাকার মালামাল নিলামে বিক্রি করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই ঘাটের ব্যবসায়ী আলহাজ শাহ আলম জানান, তারা নিলামকৃত মালামাল বিক্রি করেই ঘাট এলাকা থেকে সরে যাবেন।
বিআইডব্লিউটি’র ঢাকা নদী বন্দরের সিনিয়র যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিন খান জানান, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। তারা নদীর পাড়ে সীমানা পিলার দিয়েছেন। এই সীমানার ভেতরে কেউ মালামাল রেখে ব্যবসা করতে পারবেন না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন