বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা, আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ কামাল। সোমবার ছিল অকালপ্রয়াত এই সংগঠকের ৭১তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে তার কর্মময় জীবনের অর্ধশতাধিক আলোকচিত্র নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপি প্রদর্শনী। জয়ীতা প্রকাশনীর উদ্যোগে আয়োজিত ‘শেখ কামাল: উদ্দীপ্ত তারুণ্যের দূত’ শীর্ষক সংবাদচিত্র উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
উদ্বোধনের পরই একটি স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, শেখ কামালের অবদান স্মরণে বিশেষ ‘শেখ কামাল পদক’ চালু করা হবে। জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শেখ কামাল শুধু খেলাধুলায় পারদর্শীই ছিলেন না, ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও ছিলেন অনন্য একজন। বাংলাদেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অসামান্য। তার এই অবদান স্মরণ করতে ‘শেখ কামাল পদক’ চালু করার চিন্তা চলছে।
জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় জানান, শেখ কামালের দূর্লভ সব আলোকচিত্র সম্বলিত এই প্রদর্শনী বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন জেলায় করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব মাঠে উদ্বোধনী দিনে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘শেখ কামাল: উদ্দীপ্ত তারুণ্যের দূত’ স্মারক গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার তানভীর মাজহার তান্না এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ ফায়সাল আহ্সান উল্লাহসহ অনেকে।
শেখ কামালের জন্ম ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। শৈশব থেকেই ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহী ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। আধুনিক ফুটবলের অগ্রদূত আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে শেষ হয়ে যায় তার ছোট কিন্তু কর্মময় জীবনের অধ্যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন