মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

কাশ্মীরে মোদির অ্যাডভেঞ্চার : স্ট্র্যাটেজিক কারণে ধীরে ধীরে জড়িত হচ্ছে গণচীন

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কাশ্মীর নিয়ে অনেকেই অনেক লেখা লিখেছেন। আমিও লিখেছি। কিন্তু হঠাৎ করে ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এত বড় কাজ করলেন কেন সেটা নিয়ে সম্ভবত অনেকেই খুব বেশি ভাবেননি। গত ৫ অগাস্ট নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরের স্ট্যাটাসকে ডাউনগ্রেড করেছেন এবং এই রাজ্যটিকে সম্পূর্ণ গিলে খেয়েছেন। তারপর এক মাসেরও বেশি সময় হলো বিষয়টি নিয়ে আমি ভেবেছি এবং কিছুটা গবেষণাও করেছি। এই ভাবনা এবং গবেষণার ফলে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার সামনে উঠে এসেছে। একটি হলো ভারতের বিগত জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগেই নরেন্দ্র মোদি তার গোয়েন্দা সূত্রে একটি খবর পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে চেক এবং কাউন্টার চেকের ফলে প্রমাণিত হয়েছে যে খবরটি ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। এর মধ্যে ভারতের নির্বাচন হয় এবং নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালের চেয়েও বেশি মেজোরিটি নিয়ে আরো ৫ বছর মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতায় এসেই তিনি ভাবেন যে ভারতের বর্হিবিভাগীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ তাকে যে খবর দিয়েছে সেই খবরের পর আর দেরি করা যায় না। অতএব কাজটি এখনই সেরে ফেলা দরকার। খবরটি নিম্নরূপঃ
কারাকোরাম মহাসড়ক, যেটি আগামী দিনের কাশ্মীর বিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

যারা রাজনীতি সম্পর্কে বেশি আগ্রহী তারা জানেন যে কাতারে আমেরিকা এবং তালেবানদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে শান্তি আলোচনা চলছে। যদি ঐ শান্তি আলোচনা সফল হয় তাহলে মার্কিন সৈন্যরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে। খুব বেশি হলে ৪/৫ হাজার সৈন্য থেকে যাবে। দুই এক বছর পর ঐ ৪/৫ হাজার সৈন্যও থাকবে না। যেমন এখন ভিয়েতনামে কোনো মার্কিন সৈন্য নাই। ঐ রিপোর্টে আরো বলা হয় যে, তাদের অর্থাৎ ‘র’ এর খবর মতে শান্তি আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে এবং আলোচনার সাফল্যজনক পরিসমাপ্তি ঘটেছে। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সুপারিশে বলা হয় যে আলোচনা যদি সত্যি সত্যি শেষ হয়ে থাকে তাহলে তালেবানদের দৃষ্টি আফগানিস্তান থেকে সরে যাবে। তাদের পরবর্তী টার্গেট হবে কাশ্মীর। কাশ্মীরে ইতোমধ্যে প্রায় ১ লক্ষ মুজাহিদ স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন। মার্কিনীরা আফগানিস্তান থেকে চলে গেলে শত শত তালেবান কাশ্মীরী মুজাহিদদের সাথে যোগ দেবে। কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধা, তালেবান এবং আইএস একত্র হয়ে একটি সন্মিলিত ‘কাশ্মীর আজাদী’ বাহিনী গঠন করবে এবং কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছাড়া ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে গেরিলা হামলা চালাবে। এই হামলা সামাল দেওয়া ভারতীয় বাহিনীর পক্ষে মুশকিল হয়ে যাবে। পাকিস্তানের জিও টেলিভিশনের চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের বিশিষ্ট কলামিস্ট হামিদ মীর তার সাম্প্রতিক এক কলামে উপরে উল্লেখিত তথ্যের কিছু কিছু প্রকাশ করেছেন।

দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো কাশ্মীরের বর্তমান ভূ-কৌশলগত অবস্থান(Geo-strategic location)। এখন কাশ্মীরের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭১ সাল থেকে তদানীন্তন পাকিস্তান থেকে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান এবং বর্তমান বাংলাদেশ বিচ্ছিন হওয়ার পর কাশ্মীরের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। কাশ্মীরের ভূ-কৌশলগত গুরুত্ব ভারত এবং পাকিস্তান ছাড়াও চীনের কাছেও বহুলাংশে বেড়ে গেছে। তাই কাশ্মীরের ব্যাপারে চীনের শক্ত অবস্থান গ্রহণের পূর্বেই ভারতকে সমগ্র কাশ্মীর গ্রাস করতে হবে। এই দুইটি কারণেই এতো তড়িঘড়ি করে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ গত ৫ অগাস্ট কাশ্মীরের স্ট্যাটাস ডাউনগ্রেড করে রাজ্যটিকে দখল করেন।

দুই
কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় যে, ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ঐ খবরটি সঠিক ছিল না। ঐ খবরে অনেক Missinformation ছিলো। কিন্তু ততক্ষণে কাশ্মীরে মোদি সরকার যা করতে চেয়েছিল সেটি করে ফেলেছে। এখন আর তার পেছনে তাকিয়ে লাভ নেই। আর এই ঘটনার পর পাকিস্তানের অবস্থান আরও শক্ত হয়েছে। শুধু পাকিস্তান নয় চীনের অবস্থানও শক্ত হয়েছে। অনেকে মনে করেছিলেন যে ক্রিকেট খেলোয়াড় থেকে পলিটিশিয়ান হওয়া ইমরান খান অনেক নরম হবেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে মিলিটারি জেনারেলদের চেয়েও ইমরান খান আরও বেশি শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তার সাথে যুক্ত হয়েছে সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার বাজওয়া। দুটি মিলে যেন একটি রাজ-যোটক। ইমরান খান বলেছেন তারা কাশ্মীরীদের সাথে থাকবেন এবং শেষ পযন্তও থাকবেন। জেনারেল কামার বাজওয়া বলেছেন পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তাদের কাশ্মীরী ভাইদেরকে শেষ পর্যন্ত সাহায্য করে যাবে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান আশ্বাস দেন যে শেষ নিঃশ্বাস থাকা পর্যন্তও তারা তাদের কাশ্মীরী ভাইদের পাশে থাকবেন এবং সর্বাত্মক সহযোগীতা করবেন।

এখন আসছি কাশ্মীরের বর্ধিত ভূ রাজনৈতিক গুরুত্বে (Strategic importance) । ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান থেকে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর পাকিস্তান বিশেষ করে কাশ্মীরের গুরুত্ব চীনের কাছে অনেক বেড়ে গেছে। দ্বিতীয়ত আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অর্থনৈতিক ও সামরিক ভাবে চীন যে অবস্থানে ছিল আজকে তারা আর সেই অবস্থানে নাই। অর্থনৈতিক ভাবে চীন এখন বিশে^র দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি। আর সামরিক ভাবে চীন এখন বিশে^র তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি। অর্থনৈতিক ভাবে প্রথম স্থানে রয়েছে আমেরিকা, আর সামরিক ভাবে প্রথম দুইটি স্থানে রয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়া। সে যাই হোক, ষাটের দশক পর্যন্ত এক অর্থে কাশ্মীর ছিল দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এক অর্থে এটি ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ বিষয়। কিন্তু বিশ^ রাজনীতিতে পরিবর্তনের সাথে সাথে এই উপমহাদেশের রাজনীতিরও পরিবর্তন ঘটেছে। কাশ্মীর এখন আর দি¦পক্ষীয় বিষয় নয়। এখন এটি ত্রিপক্ষীয় বিষয়। এই তিনটি পক্ষ হলো ভারত, পাকিস্তান ও চীন। চীন ইতোমধ্যেই আকসাই চীনে তার নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত রেখেছে।
গিলগিট, বাল্টিস্তান ও আজাদ কাশ্মীর সহ পাকিস্তানের দখলে রয়েছে কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ। আয়তন ৪১ হাজার ৪৭১ বর্গ কিলোমিটার। (এটিকে বলা হয় নর্দান এরিয়া) পক্ষান্তরে আকসাই চীনের আয়তন ৩৭ হাজার ৫৫৫ বর্গ কিলোমিটার। এছাড়া লাদাখের একটি অংশ চীনের বলে চীন মনে করে। তাই ভারত যখন ৩৭০ এবং ৩৫(ক) ধারা বাতিল করে এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে দ্বিখন্ডিত করে লাদাখকে তার অন্যতম কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল বানায় তখন গণচীন লাদাখে তার সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হয়েছে বলে মনে করে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সেদিনের বৈঠকে চীন ভারতকে কড়া ভাষায় এই বক্তব্য দিয়েছে যে, ভারত যেন কাশ্মীরে একতরফা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে। এছাড়া ১৯৬২ সালে চীন ভারত যুদ্ধে চীন ভারতের অরুণাচল (নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার এরিয়া বা নেফা) এবং আকসাই চীন দখল করে। চীণ অরুণাচল ছেড়ে চলে যায় কিন্তু তার পর থেকে চীন বলে আসছে যে, অরুণাচল ন্যায্যত চীনের অংশ। এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ২০১৯ সাল পর্যন্ত চীন অরুণাচলের ওপর তার দাবি পরিত্যাগ করেনি। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে গণচীন আকসাই চীন নিয়ন্ত্রণে নেয়। সেই নিয়ন্ত্রণ আজও চীন অব্যাহত রেখেছে। এই আকসাই চীনও কাশ্মীরের অংশ। চীন মনে করে যে আকসাই চীন জিনজিয়াং প্রদেশের অংশ।

১৯৬৩ সালে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে। এই সালে পাকিস্তান চীনকে ট্রানস কারাকোরাম ট্র্যাক হস্তান্তর করে। এর আয়তন ২৭০০ বর্গ কিলোমিটার। পাক চীন সীমান্ত সংশোধন এবং কারাকোরাম হাইওয়ে নির্মাণ কালে পাকিস্তান এই কারাকোরাম ট্র্যাক চায়নার হাতে তুলে দেয়। পাকিস্তান এবং আমেরিকার সম্পর্ক যত তিক্ত হতে থাকে কারাকোরাম ট্র্যাককে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে ভূ কৌশলগত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ততই গাঢ় হয়।

এর মধ্যে পাকিস্তান বেলুচিস্তান সীমান্তে গোয়াদর গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ শুরু করে। এই সমুদ্রবন্দর নির্মার্ণ পাকিস্তান শুরু করলেও প্রথম দিকে এর নেপথ্যে ছিল চীন। কিছু দিন পর চীন আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে এবং গোয়াদর গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে বিপুল অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসে। কারাকোরাম হাইওয়ে চীনের জন্য ক্রমান্বয়েই গুরুত্বপূর্ণ হতে থাকে এবং সেই সাথে পাক চীন অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ ও রক্ষায় চীন মিলিয়নের অংকে নয়, বিলিয়নের অংকে এই করিডোর নির্মাণে সাহায্য দেয়। এই করিডোরটি এখন গোয়াদর গভীর সমুদ্রবন্দরের সাথে সংযুক্ত। সামরিক কৌশলগত বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, গোয়াদর চীনের জিনজিয়াংয়ের সাথে সংযুক্ত করার একমাত্র পথ। পত্রান্তরে প্রকাশিত খবরে জানা যায় যে, পাকিস্তানের এ্যাবোটাবাদ হয়ে কাশগড় পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। এই পথটি চীনের আগামী দিনের বেল্ট এ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কাশ্মীরে এখন চীনের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো কারাকোরাম হাইওয়ে। এটি পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত গিলগিট ও বাল্টিস্তানের মধ্য দিয়ে গেছে। চীনের কাছে এর রয়েছে অসাধারণ সামরিক গুরুত্ব। মধ্য এশিয়া হয়ে পূর্ব এশিয়ার সাথে যোগাযোগের এটিই অন্যতম প্রধান পথ। অন্যদিকে এই একই পথ আফগাস্তিান হয়ে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত হতে যাচ্ছে। এই কারাকোরাম হাইওয়ের ওপর যান চলাচল বিশেষ করে সামরিক যান চলাচলের ওপর নজর রাখার জন্যই ভারত তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় শিয়াচেন গ্লেসিয়ার বা শিয়াচেন হিমবাহ। অনেকে মনে করেন যে, সেই একই কারণে শিয়াচেন সংলগ্ন কারগিল নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে একটি সীমিত যুদ্ধ হয়েছিল। শিয়াচেন ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ৮ শত ৭৫ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত। এখানে প্রচন্ড ঠান্ডা। বছরে প্রায় অধিকাংশ সময়ই হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা থাকে। এই শিয়াচেন নিয়ন্ত্রণের রাখার জন্য যুদ্ধে নয়, ঠান্ডায় ভারত ও পাকিস্তানের কয়েক হাজার জন সৈন্য মারা গেছে। ইতোমধ্যেই রাশিয়া সহ পশ্চিমাদের মধ্যে একটি গুঞ্জণ ছড়িয়ে পড়েছে যে, কারাকোরাম রেঞ্জে সাকসাম ভ্যালী পাকিস্তান চীনের নিকট হস্তান্তর করতে পারে।

গত ৩/৪ দিন আগে খবর বেরিয়েছিল যে, চীনা সৈন্য অরুণাচলের অন্তত ২ বর্গকিলোমিটার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। তারা সেখানে নাকি একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করেছে। সাঁকোটি অত্যন্ত মজবুত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে অরুণাচলের অভ্যন্তরে চীনা সৈন্য প্রবেশের সুদূর প্রসারী লক্ষ্য সামনে রেখেই নাকি এই সাঁকো তৈরি করা হয়েছে । ভারতের ভূ উপগ্রহ থেকে নাকি চীনা সৈন্যের অনুপ্রবেশ এবং সাঁকো তৈরির ছবি তোলা হয়েছে।

ওপরে যেসব ঘটনা তুলে ধরা হলো তার ফলে এখন এ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে যে অতীতে কাশ্মীর ইস্যুটি দ্বিপাক্ষিক হলেও এখন আর সেটি দ্বিপাক্ষিক নাই। এখন সেটি হয়েছে ত্রিপাক্ষিক। অর্থাৎ কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান জড়িত হয়ে পড়লেও এক্ষণে চীনও কাশ্মীরে জড়িত হয়ে গেছে। এখন কাশ্মীর উপত্যকা ওয়ার্ল্ড ফোকাসে এলেও গিলগিট, বাল্টিস্তান এবং কারাকোরাম রেঞ্জ কাশ্মীর বিরোধে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তাই মনে করেন যে, আগামীতে ভারত যদি যে কোনো ছুতানাতায় কাশ্মীরে বড় কোনো এ্যাডভেঞ্চার করে তখন সেই এ্যাডভেঞ্চারে জড়িত হবে গণচীন। কাশ্মীর এখন পাকিস্তানের জীবন মরণের প্রশ্ন। তাই ভারতকে মোকাবেলার জন্য স্ট্র্যাটেজিক কারণে বরফ ঢাকা অঞ্চল গুলোতে পাকিস্তান যদি কিছুটা ছাড় দেয় এবং চীনকে সেই এ্যাডভেঞ্চার মোকাবেলায় শরিক করতে পারে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
journalist15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Abul Hasan Muhammad Abdullah ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০২ এএম says : 0
জাতিসংঘের প্রস্তাবিত গনভোটই ছিল কাশ্মীরের শান্তিপূর্ণ সমাধান ৷ তবে বর্তমানে আজাদীর জন্য সংগ্রাম করা ছাড়া কাশ্মীরিদের কোন উপায় নেই ৷
Total Reply(0)
H M Jasim Uddin ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৩ এএম says : 0
জম্মু- কাশ্মীরের জনগণ যা চায় ভারতীয় শাসকদের সেটাই করা উচিত বলে আমি মনে করি / জোর করে ভাল কিছু করলেও খারাপ ফল হবার সম্ভাবনা থাকে /
Total Reply(0)
Samim Ahmed ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৩ এএম says : 0
ভারত যে মারাত্মক ভুল করছে এর ফল তারা খুব দ্রুত পাবে, ইনশাআল্লাহ,
Total Reply(0)
মোঃ রিফাত উদ্দীন মাহমুদ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
কাশ্মীরের স্বাধীনতা দাও, ভারত শান্তি ফিরে পাও। কাশ্মীর তোমার না, দখলদারত্ব ছেড়ে দাও। ওরা স্বাধীন হতে চায়, ওরা মুক্তিযোদ্ধা ওরা বীর, ওরা ওদের মাতৃভূমিকে মুক্ত করতে চায়, হানাদারের কবল থেকে। ওদেরকে আমি সালাম জানাই। আমিও যদি কাশ্মীরি হতাম, আমিও স্বাধীনতার জন্য লড়তাম, সবারই স্বাধীনতার পক্ষে লড়াইয়ের অধিকার আছে। কাশ্মীরে গণহত্যা বন্ধ করো, বহিরাগত বসতি বন্ধ করো, বর্বর সেনা সরাও, তাদেরকে বাঁচতে দাও, স্বাধীনতা দাও, তাহলে তোমরাও শান্তি ফিরে পাবে। জয় হোক কাশ্নীর ।
Total Reply(0)
Fakrul Islam ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
ভারত যে ঐতিহাসিক ভুল করেছে তা কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারবে।
Total Reply(0)
চরমোনাই মিডিয়া বরিশাল ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
কাস্মিরে ৮০% মুসলিম। ভারত এখন সম্পূন দেশ হিন্দুত্ববাদী দেশ গড়তে চাইছে।এর জন্য এই কাজ করছে। কাস্মিরের ঐতিহাসিক ভূল ১৯৪৭ সালে তারা পাকিস্তানিদের সাথে যায়নি কারন তারা মনে করেছে এক সময় ভারত থেকে তারা স্বাধীনতা পাবে। যদি পাকিস্তানিদের সাথে থাকে তবে তারা স্বাধীনতা পাবে না। তবে এখন তারা হাড়ে হাড়ে টের পাইতেছে গো মাতা কি জিনিস?
Total Reply(0)
Manik Hasan ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৬ এএম says : 0
মুক্তিকামী মানুষকে শোষণ করে কোন ভাবেই দাবায়ে রাখা সম্ভব নয়। কাশ্মীরীদের চোখে বিদ্রোহের যে আগুন তা একদিন দাবানল হয়ে সারা ভারতকে পুড়িয়ে ছাই করে দিবে।
Total Reply(0)
শরীফ আহাম্মেদ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
গণভোট আয়োজন করে কাশ্মীরের জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সমাধান হলেই সবচেয়ে ভাল হবে।
Total Reply(0)
মোঃ সোহেল সরকার ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
ঊগ্রপন্থী হিন্দুদের ত কারণ একটাই সেটা হলো, জাত। মানুষ মানুষের জন্য... এটা যদি পৃথিবীর সব মানুষেরা এরা বুঝত তাহলে পৃথিবীটা শান্তিময় বিরাজ করতো। একটা কথা সবারই যানা দরকার, কাওখে কাঁদালে তাহারো কাঁদতে হবে..!
Total Reply(0)
Dip345 ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
পাকিস্তান অধিকৃত বেলুচিস্তান ও আজাদ কাস্মীর ও স্বাধীনতা চায়..সে সম্পর্কে কিছু জানলে বলুন.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন