শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘কাশ্মীরের জন আকাক্সক্ষাকে নস্যাৎ করা যাবে না’

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, কাশ্মীর ও কাশ্মীরের জনগণের বিশেষ অধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মৌলিক প্রশ্নকে এড়িয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ও দখলদারিত্বে কাশ্মীর সঙ্কটের সমাধান হবে না। তিনি বলেন, নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, সন্ত্রাসের পথে কাশ্মীরের মুক্তিকামী জনগণের ন্যায্য, গণতান্ত্রিক ও মানবিক আকাক্সক্ষাকে নস্যাৎ করা যাবে না। তিনি কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বের অবসান ঘটিয়ে কাশ্মীরি জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের আহ্বান জানান।

গতকাল পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বক্তব্য চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তাবিরোধী। আসামসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নাগরিকপঞ্জির বাইরে থাকা ভারতীয়দেরকে যেভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে এবং তাদেরকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য যেভাবে বাংলাদেশের ভূখণ্ড দাবি করা হচ্ছে তা বিজেপি নেতাদের বাংলাদেশবিরোধী আগ্রাসী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এসব সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক তৎপরতার প্রতিবাদ না করার চরম হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের লাগামহীন বেসামাল ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তৃতা-বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে বাদ পড়া ভারতীয়রা কিভাবে ভারতের নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হবেন তা একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতীয় নাগরিকদেরকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশকে অনুগত ও বশংবদ রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করার কোনো অবকাশ নেই।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাম জোটের সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু, পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের নেতা আকবর খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এম আকতারুজ্জামান, রাশিদা বেগম, মাহমুদ হোসেন, সজীব সরকার রতন, এ্যাপোলো জামালী, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, রফিকুল ইসলাম অভি প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন