বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ট্রলার মাছসহ ১৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় মংলা বন্দরের ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলরত জাহাজ বিএনএস নিশান ওই জেলেদের ট্রলারসহ আটক করে। এই ঘটনায় নৌবাহিনীর পেটি অফিসার মো. আবুল মঞ্জুর বাদী হয়ে আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মংলা থানায় একটি মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে আটককৃত জেলেদের বাগেরহাটের মংলা থানায় হস্তান্তর করে নৌবাহিনী। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
আটককৃত জেলেরা হলেন, ভোলানাথ দাস (৬০), মিন্টু দাস (২৫), বাবুল সরকার (৪২), উত্তম দাস (২৬), কিরণ দাস (৬৫), রাজেশ দাস (৩৩), কার্ত্তিক দাস (৪৫), আনন্দ দাস (৫০), নেপাল দাস (২৬), বাসুদেব দাস (৩০), সূর্য্য দাস (২৬), উত্তম দাস (৩৫), সোনারাম দাস (৫১), বিমল দাস (৪৮) এবং পিল্টন দাস (২৩)। এদের বাড়ি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁকদ্বিপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
মংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মন্ডল জানান, বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে মাছ শিকারের অপরাধে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে নৌবাহিনী ১৫ ভারতীয় জেলেকে আটক করে মংলা থানায় সোপর্দ করে। এসময় ভারতীয় ফিশিং ট্রলার ‘এফবি মা-লক্ষ্ণী’ জব্দ করা হয়।
বাগেরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক দিলিপ কুমার সরকার বলেন, বঙ্গোপসাগরের অবৈধভাবে বাংলাদেশ জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে এফবি মা লক্ষ্ণী নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ মোট ১৫ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আটক হওয়া ওই জেলেদের মংলা থানায় হস্তান্তর করে। এই ঘটনায় নৌবাহিনী আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মংলা থানায় একটি মামলা করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন