আশুলিয়ায় একটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের রুমে ব্যালট পেপার নিয়ে নৌকা প্রতিকে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে আশুলিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের নারী ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পদে ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী হেলাল বেপারী অভিযোগ করে বলেন, আমি এই কেন্দ্রে এসে দেখি প্রিজাইডিং অফিসার নিজে ব্যালট বই নিয়ে এসে সিল মারছেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল। মোট তিনটা বই নিয়ে তারা সিল মারছিল।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার হারুন উর রশিদ বলেন, কয়েকজন এসে জোর করে ব্যালট বই নিয়ে যায়। আমি চেষ্টা করছিলাম যেন তারা কোনো সিল না মারে, কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি। তাছাড়া বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর মতোও সময় পাইনি।
তিনটি বইয়ে সিল মারা হয়েছে তা বাতিল করা হবে জানিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার হারুন উর রশিদ বলেন, আমি কোন সিল মারিনি। আমার সামনে নৌকার কিছু লোকজন জোরপ‚র্বক সিল মেরেছে, আমি মারি নাই। শতাধিক ব্যালটে তারা সিল মেরেছে মনে হয়। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম সিল না মারার জন্য। এই ভোটগুলো আমি বাতিল করার ব্যবস্থা করব।
এদিকে আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রেও প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ তুলে কেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন অন্য প্রার্থী ও ভোটাররা। তখন কেন্দ্রটিতে ব্যাপক হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে আতঙ্কে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দেখা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রার্থীর সমর্থক বলেন, ভেতরে পুলিশের নেতৃত্বে নৌকায় ভোট দিয়েছে লোকজন। আমরা এখানে ভোট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
একই অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন মাদবর। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি আশুলিয়া কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে জোরপ‚র্বক সিল মারা হচ্ছে।
কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুর রহমান বলেন, কে কি বললো দেখার বিষয় না। আমার দায়িত্ব আমি পালন করছি। নৌকা প্রতীকে সিল মারার বিষয়ে তিনি বলেন, 'এটা অসম্ভব'।
এ ঘটনার পর কেন্দ্রটি পরিদর্শনে আসেন ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, আমরা পরিস্থিতি দেখছি। ভোট সুষ্ঠু করাটাই এখন প্রধান কাজ। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন