মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার গাঁওদিয়া ইউনিয়নে ঘোলতলী বাজার সংলগ্ন মো.দিদার মোল্লার মেয়ে জর্ডান প্রবাস ফেরত মাফুজা আক্তারকে তার আপন ছোট ভাই শাহীন, হামিদুল মোল্লা ও বোনরা মিলে অর্থ-সম্পদ দখল নিয়ে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। পরিবারে হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ভিডিও গত ২দিন যাবত ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। পরিবারের হাতে বার বার লাঞ্ছিত হওয়ার পরে তিনি অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেখানে গিয়ে তার পরিবারের লোকজন মার ধর করে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগী মাফুজা আক্তার ও এলাকাবাসী। গত বুধবার ঘোলতলী বাজারে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসী মো.আয়ূব আলী মোড়ল, মো.সাইফুল ইসলাম,রেকেয়া বেগম,জোছনা বেগম, জানান মাফুজা আক্তার বিগত ৯ বছর যাবত প্রবাসে ছিল। বাড়িতে ঘর,ঢাকায় দোকান, এলাকায় জমি ক্রয়,গাঁওদিয়া ঘোলতলী বাজারে দোকান ক্রয় করেছেন। গত নভেম্বর মাসে তিনি প্রবাস থেকে বাড়িতে আসে এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে নগদ টাকা, অলংকার, পাসপোর্ট ও ব্যাগ থেকে নিয়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে তাকে মারধর করে একপর্যায়ে প্রবাস থাকা কালিন সময় টাকা -পয়সা হিসাব চাইলে নির্যাতন শুরু হয়। সর্বশেষ বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
মাফুজা আক্তার বলেন, আমি প্রায় ৯ বছর প্রবাসে থেকে আমার পরিবারের সদস্যদের সুখের জন্য ঘর,বাড়ি, দোকান, জমি এবং নগদ ২২(বাইশ)লক্ষ টাকা দিয়েছি।আজ আমার পরিবারের সবাই আমাকে পাগল বলে এবং আমাকে মারধর করে।তিনি আরো বলেন প্রবাসে থাকা কালিন আমার ভাই হামিদ, বোন কুলছুম,আন্না, রাবেয়ার নামে টাকা পাঠাই।
মেয়েকে মারধরের ঘটনায় জানতে চাইলে তার পিতা মো.দিদার মোল্লা বলেন আমার মেয়ের মাথা ঠিক নাই। আমরা ওকে ঔষধ দিয়ে ঠিক করার চেষ্টা করছি। টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তার ভাই শাহীন ও হামিদুল মোল্লা জানান, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আপনারা আমার পরিবারের লোজনের সাথে এসে কথা বলুন।আমার বোন মিথ্যা বলে।
লৌহজং থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর রহমান জানান ,গতকাল দুপুরে মাফুজা আক্তার থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তার আপন ভাই ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। সবাই মিলে মারধর,তার সম্পদ দখল এবং তাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাক্ষেপে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন